প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অনুমতি বাতিল সত্ত্বেও বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সানি লিওন কিভাবে বাংলাদেশে এলেন?- সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। বাংলাদেশের মাটিতে তার পা রাখার খবর আসতেই প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এনিয়ে ক্ষোভে ফুসছেন দেশের সচেতন মানুষ।
এরআগে সরকারের একজন মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে আসার জন্য পরিচয় গোপন করেছিলেন। এ জন্য তার বাংলাদেশে আসার অনুমতি বাতিল করা হয়।তিনি আরও বলেন, সানি লিওন পরিচয় গোপন করে অপরাধ করেছেন; যারা তাকে আনতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা ভাবছি।
এদিকে রাত পার হতেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছবি পোস্ট করে বিকেল ৫টায় বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছেন সানি লিওন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই সুন্দর দেশে এসে আমি খুব খুশি।’
তার এই পোস্টের পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। প্রতিবাদে সোচ্চার হন দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ।
এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘সানিলিওন বাংলাদেশে না এসে যদি জাকির নায়েক আসতো, তাহলে কী হতো?তৌহিদী জনতার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। ২০১৫ সালে ঢুকাতে না পারলেও ২০২২ সালে কিভাবে পারলো?’’
সাংবাদিক ও ইসলামি লেখক আমিন ইকবাল প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘যে দেশে পরীদের মতো নায়িকারা সদর্পে ঘুরে বেড়ায়, যে দেশে রাত নামলেই অভিজাত পাড়ায় উঠতি মডেলদের আনাগোনা বেড়ে যায়, যে দেশে নর্তকীদের ডেকে আনা হয় বিনোদনের নামে, যে দেশে পতিতালয়কে শিল্পে রূপায়নের চেষ্টা চলে—সে দেশে এক সানি লিওনের আসা-যাওয়ায় কী-ই-বা আসে যায়!
কিন্তু কথা হচ্ছে, সরকার সানি লিওনের বাংলাদেশে আশার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করার পরও কীভাবে তিনি ঢাকায় এলেন? ইমিগ্রেশন কে নিয়ন্ত্রণ করে? কে-ই-বা তাকে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে? নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঢাকায় আসায় তাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা? তার সহযোগীদের কি আইনের আওতায় আনা হবে?
এই প্রশ্নগুলো মিডিয়ায় খুব একটা উঠবে না। মিডিয়া মেতে উঠবে কাটতি বাড়ানোর ধান্দায়। সানি লিওন কোথায় উঠলেন, কী খেলেন, কার সঙ্গে দেখা করলেন, তার আবেদনময়ী কিছু ছবি, সম্ভব হলে একটা ইন্টারভিউ—এসবে মত্ত্ব থাকবে অনেকেই!
কেউ কেউ ইসলামী দলগুলোকে খোঁচাবেন। আন্দোলন-সংগ্রামে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আবার মারামারি হবে, আবার ধড়পাকড় হবে। আরও কত কি!
এই যে সানি লিওন নিয়ে মিডিয়ায় এত এত মাতামাতি হবে, আলোচনা হবে, নিশ্চয় শিশু সন্তান বাবা-মাকে প্রশ্ন করবে—‘সানি লিওন কে?’ কী জবাব দেবেন পরিবার? কী জবাব দেবে সমাজ? কী জবাব দেবে রাষ্ট্র?’’
মোঃ নবিন হোসেন লিখেছেন, ‘‘একজন পর্ণগ্রাফারকে মুসলিম দেশে আমন্ত্রণ করে ডেকে আনা হয়। আর একজন দ্বীনি আলেমকে দেশ থেকে বের করা হয় । কিয়ামতের আলামত এগুলো। এখন বাংলাদেশ বিরাট উদারতা দেখাবে, লিওনিকে নিয়ে অনুষ্ঠান হবে, কনসাট হবে। আর নেতারা এবং প্রশাসন বলবে আমরা তদন্ত করছি তদন্ত না করে কিছু বলা সম্ভব না। তদন্ত রির্পোট আসার আগে লিওন যেভাবে এসেছিল ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।’’
সাদ্দান হোসেন লিখেছেন, ‘‘একটা জিনিস খেয়াল করলাম আমাদের এই সরকারের মুড সুইং এর বিষয় খুব পারদর্শী। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে যখন মানুষ নানান ভাবে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে তখন এরা এমন একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসছে যে আমাদের হলুদ মিডিয়া গুলো এখন এই টপিক নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে।তবে এই গুলো বিচার হবে একদিন। জমিনে শাসন তোমার হলেও আসমানের মালিক কাল হাশরে নিজেই বিচার করবেন।’’
জানা যায়, বাংলাদেশে সানি লিওনের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায়। শনিবার বিকেলে আমেরিকান পাসপোর্টে ওই দেশ থেকেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।