দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ দুটি উপজেলা (প্রায়) ৩৫শ একর জমিতে প্রাকৃতিক বনভূমি তার সাথে ১৩শ একর জমিতে আশুরার বিল রয়েছে । শাল বনের ভিতর ও বাহিরে ঐতিহাসিক প্রতাত্ত্বিক কিছু নির্দেশনা রয়েছে। আশুরার বিল এর প্রধান আকর্ষণ প্রাকৃতিক শালবন। এই বিল ও শালবনের ভিতরে চমৎকার মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক নির্দেশনা রয়েছে যা আকৃষ্ট করছে ভ্রমণ পিপাসুদের। ঐতিহাসিক আশুরার বিল বর্তমানে একটি সংযোগ রাস্তায় কাঠের সাঁকো রয়েছে। এই সাঁকো দেখতে দেশের হাজার হাজার মানুষ আসে । আশুরার বিলের ভিতরে প্রাকৃতিক নির্দেশনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। এর ঐতিহ্য বিবেচনায় বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন শিল্প পরিণত করার লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যানিং এর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। পূর্বেই এই শাল বনটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতির দিয়েছে বর্তমান সরকার । এই জাতীয় উদ্যানটির সম্প্রসারণ ও পর্যটন শিল্পে পরিণত করার লক্ষ্যে আশুরার বিল এর ভিতর বঙ্গবন্ধু টাওয়ার,গ্রান্ড প্যালেস, রিসার্চ, ও আন্তর্জাতিক মানের পিকনিক স্পট তৈরীর জন্য বনের ভিতর দর্শনীয় জায়গা গুলো রুপায়ন কার্যক্রম হাতে উদ্যানটির বর্তমান সরকার।

স্থানীয় মাননীয় জাতীয় সংসদ জনাব শিবলী সাদিক এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আশুরার বিলটি প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র্যে জলাভূমি নান্দনিক দার্শনিক স্থান গুলিতে মাস্টার প্ল্যান এর দর্শনীয় করতে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। এরই অংশ হিসেবে আশুরার বিল ও শালবনের ভিতরে পর্যটন শিল্পে সম্ভাব্য পরিকল্পনায় সরকারি স্থাপনার বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন করেন।

পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সার্ম এ্যাসোসিয়েট লিমিটেড এর অপারেশন ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সালাউদ্দিন, তিনি বলেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে ১হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয় হতে পারে । এ লক্ষ্যে আজ রবিবার নবাবগঞ্জ উপজেলা কনফারেন্স রুমে উপজেলা নির্বাহি অফিসার অনিমেষ সোম সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে

দিনাজপুর -৬ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি বলেন,তার নির্বাচনী এলাকায় হিলি একটি স্থলবন্দর রয়েছে, তার পাশে ফুলবাড়ী উপজেলায় মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে। নবাবগঞ্জে দিঘীরপাড়ায় ইউরেনিয়ামের খনি রয়েছে। পর্যটন শিল্পের জন্য উপযুক্ত দর্শনীয় আশুরার বিলটির সংস্কার করে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সরকার পর্যটন শিল্পের একধাপ এগিয়ে যাবে। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়বে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে এই বনটি হতে পারে বিশ্বের ১ নং পর্যটন নং তিনি বলেন ।