পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে সড়কে সংঘটিত সব হত্যার বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ ৯ দাবিতে রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রথমে বিআরটিএ ভবনের সামনে অবস্থান নেয় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বনানীর প্রধান সড়কে নামে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় বনানী-মহাখালী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বনানী, গুলশান, উত্তরা, বিমানবন্দর এলাকায়ও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ের যাত্রীরা।
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম আপন বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা এর আগেও আন্দোলন করেছি। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এদিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিআরটিএ ভবনের পঞ্চম তলায় চেয়ারম্যান দফতরের সামনে অবস্থান নেয়। বেলা সোয়া একটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে আশ্বাস দেন। আশ্বাস পাওয়ার পর সড়ক থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান আন্দোলনকারীদের জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিআরটিএ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সপ্তাহের ছয়দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ওয়েবিলের নামে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বিআরটিএর কাছে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এরপর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি আন্দোলনকারীদের জানান, সড়কে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম-আহŸায়ক ইনজামুল হক বলেন, আমাদের ৯ দফা দাবি খুবই যৌক্তিক, খুব সহজেই পূরণ করা সম্ভব। আমাদের প্রধান দাবি ওয়েবিল বাতিল করে ২৪ ঘণ্টা হাফ পাস করতে হবে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে: দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দ্রæততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
পরিবহন শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ এবং যথাযথ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। দ্রæত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।
যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএ’র সব কর্মকাÐের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।
এদিকে, ইনজামুল হক রামীম নামে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের দিন ও রাত আটটার পর কার্যকর নেই হাফ ভাড়া। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের ছুটির দিন কিংবা রাত আটটার পরও শিক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। এ নিয়ে প্রায়ই সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে। তাই ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে সারাবছর ২৪ ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের হাফপাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
হাফপাস কোনো ভিক্ষা নয়, হাফপাস আমাদের অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাফপাস নিয়ে আন্দোলনের এতদিন পরে আবারও কেন আমাদের এখানে দাঁড়াতে হলো? আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। নয় দফা আকারে আমাদের দাবিগুলো উল্লেখ করেছি, এসব দাবি বাস্তবায়ন না করলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আন্দোলনকারী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এখনো সিটিং বা ওয়েবিলের মতো অবৈধ পন্থায় বিভিন্ন বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যার যথোপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।