Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও চলে যায়নি, তাই এখনও সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রথমে ডেল্টা, এরপর ওমিক্রন, এরপর নতুন কোনো ভাইরাস (ভ্যারিয়েন্ট) আসতে পারে। এ জন্য আমাদের আগে থেকে প্রস্তুত হতে হবে। একই সঙ্গে দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ বর্তমানে করোনা টিকার আওতায় এসেছে। টিকা কার্যক্রমে আমাদের কখনো টিকা বা সিরিঞ্জের অভাব হয়নি। খুব সহজ মনে হয় কাজগুলো, কিন্তু এর পেছনে অনেক শ্রম, অনেক মেধা ব্যয় হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকরাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ছিল। তাদের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এক সময় আইসিইউ, ল্যাব ও অক্সিজেন ছিল না। এখন তা পর্যাপ্ত। অথচ এখন আর কেউ এগুলো নিয়ে কথা বলেন না। করোনায় আমাদের দেশে মৃত্যুহার কম। তবুও ২৯ হাজার মৃত্যু আমাদের জন্য একটি বড় সংখ্যা। আমরা তুলনামূলকভাবে এগুলো আরও কমানোর চেষ্টা করছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতার একটা বড় কারণ হলো আমাদের চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য বাহিনীর লোকজনও অনেক নিবেদিত ছিল। কেউ জীবনের ভয় করেননি। গোটা জাতির একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ায় মহামারি আটকানো সম্ভব হয়েছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করেছে। যে কারণে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেক কম হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসাব্যবস্থা থেকে শুরু করে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। করোনা কীভাবে আসল, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, কীভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, কীভাবে আমরা করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে পারি এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ১২শ’ সিট বাড়ানো হয়েছে। দেশে হাসপাতাল তৈরি হলে সেখানে চিকিৎসকদের কর্মসংস্থান হবে, মানুষ চিকিৎসা পাবে। এজন্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরে প্রয়োজনীয় ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এ সময় চিকিৎসায় রোবটিক ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ব্যবহারের প্রতিও জোর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক নাজমুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. বিল্লাল আলম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ