Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে এবার পৌনে ৪ কোটি টাকা

মিলছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার

নাছিম খান, কিশোরগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০৩ এএম

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খুলে এবার রেকর্ড পরিমাণ পৌণে ৪ কোটি টাকার অধিক অর্থাৎ ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশী টাকা ছাড়াও দানসিন্দুকে ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে। এর আগে গত ২০২১ বছরের ৬ নভেম্বর সর্বশেষ দান সিন্দুক খোলার পর ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে ১৫টি বড় বস্তায় টাকা রাখা হয়। এরপর শুরু হয় প্রায় ১২ ঘন্টা টাকা গণনা চলে। টাকা গণনায় মসজিদ ও মাদরাসার শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও আনসার এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন। পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে রূপালী ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় জিএম হেমন্ত কুমার দাসের তত্ত¡বধানে টাকা গণনার কাজ সম্পন্ন হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম মসজিদের দানবাক্সে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়ার নিশ্চিত করে জানান, এটা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্থ প্রাপ্তি। প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদের এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদরাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও দানের টাকা প্রদান করা হয়। সেই সাথে বর্তমান স্থানে একটি দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জে অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। কথিত আছে, প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ