পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ। মহাবীর ঈসা খানের অধঃস্তন পুরুষ দেওয়ান জিলকদর খানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক সাড়ে চার মাস পরে খোলা হলো। টাকা গণনা শেষে পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।
গত শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের মোট আটটি দানবাক্সের টাকা বের করে ১২টি বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় গণনার কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণনার কাজ করেন মাদরাসা ও এতিমখানার শতাধিক ছাত্র ও ৫০ জন কর্মচারীসহ উৎসাহী আরো অনেকেই।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি লোহার দান সিন্দুক রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খোলা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবার ৪ মাস ১৭ দিন পর গত শনিবার দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম টাকা গণনার খবর জানিয়েছেন। এছাড়া টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মস্তোফা ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৯ জুন দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৪ মাস ১৭ দিন পর দান সিন্দুকগুলো হতে ১২ বস্তা খোলা হয়।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এখানে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়- এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন। মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়ে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।