পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাইক্রোবাস আটকিয়ে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে ভেড়ামারা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল কুষ্টিয়া-২ এর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে কুষ্টিয়ার আদালতে মামলা করেন জাহিদ বিড়ির স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম। আসামিরা হলেন- ভেড়ামারা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল কুষ্টিয়া-২ এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বি,এম সাজ্জাদুল ইসলাম ও মো. জাহিদুল আম্বিয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় এসএম জাহিদ বিড়ি ফ্যাক্টরীর স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলামের বাড়ি। গত ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ভেড়ামারা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-২ এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বি,এম সাজ্জাদুল ইসলাম ও মো. জাহিদুল আম্বিয়া জাহিদুলের বাড়িতে যায়। এসময় তার কাছে বিশেষ অভিযানের কথা বলে তার মাইক্রোবাসটি চেয়ে নেই। দুইদিন পর গত ১৭ ফ্রেব্রæয়ারি ফোন করে সহকারী কর্মকর্তা বিএম সাজ্জাদুল ইসলাম মাইক্রোবাসের মালিক জাহিদুলকে কাস্টমস অফিসে দেখা করতে বলেন। পরের দিন বিকেলে ভেড়ামারা কাস্টমস অফিসে গেলে ওই দুই কর্মকর্তা বলে মাইক্রোবাস ফেরত নিতে হলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা না দিলে নকল বিড়িসহ অন্যান্য অবৈধ মালামাল দিয়ে ফৌজদারি মামলাসহ জাহিদুলকে গ্রেফতারের হুমকি দেয়।
এরপর ২ মার্চ এসএম জাহিদ বিড়ি ফ্যাক্টরীর স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়ার আদালতে ওই দুই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করা হয়।
জাহিদ বিড়ির মালিক জাহিদুল ইসলাম জানান, এর আগেও অভিযানে যাওয়ার কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা গাড়ি নিয়ে ফেরত দেয়। এবার গাড়ি নিয়ে ফেরত না দিয়ে কাস্টমস অফিসে ডেকে নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি বলেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বি,এম সাজ্জাদুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম আম্বিয়া হুমকি দিয়ে বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে নকল বিড়ি ও অবৈধ মালামাল দিয়ে মামলায় দিয়ে আমাকে থানায় চালান করে দিবে।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-২ এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বি,এম সাজ্জাদুল ইসলাম জানায়, সরকারি কাজ করতে গেলে অনেকের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় ও জরিমানা দিতে কষ্ট হয়। রাজস্ব আহরণ করতে গেলে অনেক ঝামেলার মুখোমুখিও হতে হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নান্নু খান জানান, আদালতের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।