Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ২:১৮ পিএম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর রুমে সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সাগর চন্দ্র দে নামের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যা গিং ও অত্যাচার করার প্রতিবাদে দোষীদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। অত্যাচারের শিকার হয়ে আহত হওয়া শিক্ষার্থী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার (১৩ মার্চ) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। প্রথমে কলা ভবনের ফটক আটকে ও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের ফটক তালাবদ্ধ করে রাখাসহ সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি তুলে ধরে বলেন, সাগর পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে এরকম কথা বলিয়ে ভিডিও করা হচ্ছে। তাদের দাবি, দোষীদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। বিচারের দাবিতে তারা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার অধ্যাপক জালাল উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোহাম্মদ ইরফান আজিজ, ছাত্র পরামর্শক তপন কুমার সরকার, কলা অনুষদের ডিন আহমেদুল বারী, হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা, বিভাগটির সভাপতি সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা।

এসময় তারা বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। জড়িতদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে। তালাবদ্ধ রাখা প্রশাসনিক ভবনের খুলে দিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানানো হবে।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত এসব ঘটনা ঘটার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইমেজ নষ্ট হচ্ছে বলেও শিক্ষকেরা ও বিক্ষোভকারীরা সেখানে দুঃখ প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নং কক্ষে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানান আহত শিক্ষার্থী সাগর।

নির্যাতনের শিকার সাগর চন্দ্র দে'র বক্তব্য অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে রুমের রোলিং চেয়ারে জোর করে বসিয়ে ৫০-৬০ বার জোরে ঘুরাচ্ছিলো চারুকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান। বারবার নিষেধ করার পরেও সাগরের কথা না শুনে চেয়ার ঘুরিয়ে ফেলে দেয় সে। চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে দুটি দাত ভেঙ্গে যাবার পর মাথা ফুলে গিয়ে রক্তক্ষরণ হলেও তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। এমনকি কাউকে যেন ফোন না করতে পারেন সে জন্যে ফোন ছিনিয়েও নেয়া হয় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী থেকে। ঘটনার সময় রুমটিতে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল বলে জানায় আহত শিক্ষার্থী সাগর।

বিকাল ৪টায় ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আহত সাগরকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ