বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালীতে মেয়ের জামাইকে তুলে নেওয়ার ৩ ঘণ্টা পর হত্যা করে লাশ ছেলের বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। শনিবার রাত ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তরুণের নাম মো. মোবারক হোসেন শাওন (১৮)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর গ্রামের চিরাম বাড়ির শাহাব উদ্দিনের ছেলে। শনিবার বিকালের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে একই দিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের চাচাতো ভাই মাস্টার সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শাওন উপজেলার চৌমুহনী বাজারের হকার্স মার্কেটের তাহেরা ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুল মালেকের দোকানে প্রায় ২ যাবত চাকরি করে। দুই মাস আগে আমরা জানতে পারি শাওনের সঙ্গে মালেক তার পালক মেয়েকে বিয়ে দেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শাওনের শ্বশুর তার বাড়িতে এসে তাকে খোঁজ করতে থাকে। এ সময় শাওনের মা তাকে জানান, শাওন এখন ঘরে নেই। একপর্যায়ে শাওন গোসল করে ঘরে এলে তার শ্বশুর তাকে বলে সুন্দর দেখে পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি পরে নাও। সে ঘর থেকে বের হয়ে এলে তার শ্বশুর শাওনকে বলে তোমার মাকে একটু সালাম দিয়ে নাও, দোয়া নাও এবং মাফ চেয়ে নাও।' তিনি আরও জানান, রাতে শাওনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনি পুলিশকে জানান, শাওনকে বিকেলে তার বাবা তাদের সামনে মারধর করে। তারপর সেখান থেকে তাকে কোথায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। নিহতের মা শামসুন্নাহার অভিযোগ করেন, দুপুরের দিকে মতিন আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে আমি ঘরে একা ছিলাম। ওই সময় মতিনের দোকানের দুইজন কর্মচারী কৌশলে আমার ছেলের মরদেহ ঘরে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, মতিন গোপনে তার পালক মেয়েকে আমার ছেলের কাছে বিয়ে দেন। তিনি আমার ছেলেকে আমাদের কাছে আসতে দিতেন না। এলে সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে, না হয় তিনি এসে নিয়ে যেতেন। আমার ছেলে এসব বিষয়ে কখনো আমার কাছে মুখ খুলতো না। মনে হয় তিনি আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। এর আগে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। শরীরে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দুপুরে শ্বশুর তাকে নিয়ে যায়। এরপর হত্যা করে সন্ধ্যায় লাশ পাঠিয়ে দেয়। এসআই এনামুল হক আরও বলেন, রবিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।