Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজারের পাশাপাশি পার্লামেন্টও সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে : সিপিবি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ৯:২২ এএম

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম বলেছেন, গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ভোক্তা ও জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। তিনি বলেন, চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিন্ডিকেটের দখলে। পার্লামেন্টও সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে। সিন্ডিকেট ও লুটপাটে নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালের বাইরে।

স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, টিসিবির বিক্রি বাড়ানো ও কঠোর হাতে সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে শনিবার সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে নগরের সিনেমা প্যালেসের মোড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মো. শাহ আলম বলেন, গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুতদারদের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই। একদিকে ভোক্তাদের পকেট কাটা হচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদকরা প্রতারিত হচ্ছেন। অবৈধ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সিপিবি সভাপতি বলেন, মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারছে না। গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। আমরা এর বিকল্প চাই। চাল-ডাল-তেলের দামের যে ঊর্ধ্বগতি দরিদ্ররা অনাহারে মরতে চলছেন।তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেটে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ সব লুটেরা দলের সদস্যরা আছে। এখানে তারা আজ সবাই একজোট। আমরা এ সিন্ডিকেট ভাঙতে চাই। লাল ঝাণ্ডার সরকার ক্ষমতায় গিয়ে তাদের এই সিন্ডিকেটে তালা মেরে দেবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে গ্রামে-শহরে রেশন ব্যবস্থা চালু করব। রেশন কার্ড চালু করলে মানুষ স্বস্তিতে থাকবে। কেউ ভাতে মরবে না। যখন সারাদেশে এই রেশনিং সিস্টেম চালু করা হবে, তখন এ সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে।

সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাই লাল দাশ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, মছিউদ-দৌলা, কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সীতাকুণ্ড উপজেলা সভাপতি জহির উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ