বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হঠাৎ যানবাহনের বাড়তি চাপ ও শুক্রবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কর্মস্থল ঢাকা ছেড়ে নিজ নিজ গ্রামে ফিরছেন অসংখ্য মানুষ । গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বাড়ি ফেরা এসকল মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে পড়ে শিবালয়ের আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি যানবাহনেই আছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এসব যাত্রীরা নৌপথ পাড়ি দিতে ভিড় জমিয়েছে পাটুরিয়া ও আরিচা লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে। পাটুুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে এ সকল যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ছোট-বড় ২০ টি ফেরির মধ্যে এগারটি রো-রো (বড়) ফেরি, ছয়টি ইউ টাইপ (মাঝারি) ফেরি ও দুইটি ড্রামফেরিসহ মোট ১৯ টি ফেরি ও ৩৩ টি লঞ্চ চলাচল করলেও বাড়তি যানবাহন ও যাত্রীর চাপে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছেন। আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন যানবহনের সৃষ্ট জটে ভোগান্তিতে পড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো হাজারো মানুষ। গতকাল শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে পাঁচটা) পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে পাঁচ শতাধিক যানবাহন ও যাত্রী ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। ঘাটে অপেক্ষমান এসব যানবাহনের মধ্যে গত বুধবারের বেশ কয়েকটি ট্রাকও আছে। অপরদিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটেও সহ¯্রাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।
আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ফেরি ও লঞ্চ ঘাটমুিখ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো যানজটে আটকে পড়ায় যাত্রীরা পথিমধ্যে নেমে পায়ে হেঁটে ও বিকল্প যানে বাড়তি ভাড়ায় ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। এতে নারী ও শিশু যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটের লঞ্চ মালিক সমিতির এক সদস্য বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই হঠাৎ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। চাপ সামলাতে উভয় রুটে ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-ব্যাবস্থাপক বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আরিচা ও কাজিরহাট নৌ-রুটের প্রত্যেকটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি অতিরিক্ত যাত্রী পার করা হচ্ছে। এ সকল যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে উভয় রুটের ছোট বড় ২০টি ফেরির মধ্যে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। অন্য একটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
যশোরে বাস উল্টে নিহত ১, আহত ৩০
যশোর ব্যুরো : যশোর-বেনাপোল সড়কে যাত্রীবাহী বাস উল্টে তোতা মিয়া (৩৫) নামে এক হেলপার নিহত হয়েছেন। এসময় নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর সড়কের লাউজানী নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোর হাইওয়ে থানার এসআই আমিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলেই তোতা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সে যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের হাফিজুর শেখের ছেলে।
আহত যাত্রীরা জানিয়েছেন, বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে বাসটি যশোর আসার সময় পথিমধ্যে লাউজানী গেট নামক স্থানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি উল্টে যায়। তখন বাসে থাকা যাত্রীরা কম বেশি আহত হন। বাসে ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।