বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিমুলিয়া-বাংলা বাজার নৌ রুটে ফেরি সংকট থাকায় জেলা সহস্রাধিক যাতায়াতকারী দক্ষিনাঞ্চলের ২১ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানাগেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে মাত্র পাঁচটি ফেরি দিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সার্ভিস চালু রাখায় প্রতিদিন দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে আগত শত শত গাড়ি পদ্মা পার হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে। দূরবর্তী জেলা থেকে আসা ছোট-বড় যানবাহনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে অপে¶া করে বিকেলে ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ হয়ে বিকল্প নৌ-রুটে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাতে বাংলা বাজার ঘাটের টার্মিনালে থাকতে হচ্ছে যান বাহন গুলোকে।
পদ্মায় নেই স্রোতের তীব্রতা, নাব্যতা সঙ্কট বা দিনভর কুয়াশার দৌরাত্ম- এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলেও ফেরি চলাচলের সঙ্কট ঠিকই রয়ে গেছে এ নৌরুটে। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি এ রুট ব্যবহারকারীদের।
যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা বলেন, এ ফেরিঘাটের দুর্ভোগের কোনো সংজ্ঞা নেই। সাধারণ যাত্রীদের কোনো মর্যাদা বা গুরত্ব¡ ঘাট কর্তৃপ¶ের কাছে নেই। তবে দুর্ভোগ সয়ে গেছে গায়ে। এখন শুধু পদ্মাসেতু চালুর অপে¶ায় আছি।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ নৌরুটে পাঁচটি ফেরি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলাচল করছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতার কারণে পদ্মাসেতুর সাথে ফেরির ধাক্কা লাগার পর থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে সঙ্কট শুরু হয়। ছোট ছোট পাঁচটি ফেরি দিয়ে চলছে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পণ্য পরিবহন, যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবসহ নানা কারণে চাহিদা থাকলেও বাড়ানো হয়নি ফেরির সংখ্যা।
এর ট্রাক চালক সুমন মিয়া বলেন, বাংলাবাজার ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। অথচ ঘাটেই বড় বড় ফেরি নোঙর করে রাখা আছে। আশা করবো, শীঘ্রই ফেরির সংখ্যা বাড়বে। এ ব্যাপারে কর্তৃপ¶ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস ড্রাইভার মিজান জানান, এখন নদীতে স্রোত নাই। পুরো নৌপথ ¯^াভাবিক। তারপরও মাত্র ৪টি ফেরি চলছে। ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে আমাদের ভোগান্তি কমবে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, নৌরুটে ফেরি চলাচল ¯^াভাবিক রয়েছে। বাংলাবাজার রুটে রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকছে। কর্তৃপ¶ সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই ফেরি বাড়ানো হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।