Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিএনপি রাস্তায় নামলে পরিবর্তন আসবে : আলোচনা সভায় মান্না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ১২:১৮ এএম

বিএনপি রাস্তায় নামলে দেশে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, সরকারকে বিদায় করতে হলে আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। এক হয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে। আপনাদের (বিএনপি) দিকে বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। বড় মানুষের কাছে সবাই আশা করে। এখনো যখন বিএনপি সমাবেশ করে তাতে মানুষের ঢল নামে। মানুষ মনে করে বিএনপি রাস্তায় নামলে দেশে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তারা এসব করছে একটি দল, একজন ব্যক্তি এবং একটি পরিবারকে মহিমান্বিত করার জন্য। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করছে। এই সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আ স ম আবদুর রব, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের অবদান স্বীকার করতে চায় না। এখন একবারের জন্যেও তাদের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করে না আওয়ামী লীগ। নিদারুণ কষ্ট করে যারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন তাদেরকে অস্বীকার করে তাদেরকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে রাষ্ট্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি, সেই রাষ্ট্র আজকে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন তাদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমাদের রাষ্ট্রকে ফিরে পেতে হলে, মানুষের মুক্তি পেতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তিনি সকল রাজনৈতিক দল ও মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, আসুন সকলের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করি।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা কষ্ট করে টাকা উপার্জন করবো আর সরকার এটা লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে যাবে এর জন্যে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়নি। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ইতিহাস একটা পরিবারের কাছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পারলে তারা বাংলাদেশের নামটাও বদলায় ফেলে। দেশটার নামও একটা পরিবারের নামে করতে চায়। যা ভয়ঙ্কর অন্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এদেশে সম্মান না দিয়ে হেও করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যতো বড় দলই হোক পৃথিবীর কোন দেশেই এককভাবে স্বৈরাচারকে পতন করা যায়নি। আপোষে এই সরকার যাবে না। আর সম্মানের সঙ্গে যদি না যায় তাহলে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা এককভাবে নয়। সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সড়াতে হবে।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কোন রাজনৈতিক দলের একক কৃতিত্ব নয়। এটা সবার সম্মিলিত যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধকে হাইজ্যাক করে, ছিনতাই করে একটি দলের কৃতিত্ব বানানো হলে তা ইতিহাস সহ্য করবে না।
তিনি বলেন, সরকারের সকল অপপ্রচার সব সময় সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে। এভাবে সব দল মত মিলে এই সরকারের সকল অন্যায়কে প্রতিরোধ করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহŸায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমূখ।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মান্না


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ