বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গফরগাঁও উপজেলার দক্ষিণে পাগলা খানার বীর মুক্তিযোদ্ধার একটি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
পাগলা থানাধীন দেউলপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার (১০র্মাচ) ভোররাতে ওই গ্রামের বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা হারেজ কুমারের (৭৩) একটি চৌচালা টিনের ঘর প্রতিপক্ষের লোকজন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজন।
তবে এলাকাবাসী জানান, মুক্তিযোদ্ধা হারেজের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী বুলবুল, চান মিয়া ও শহীদুলের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বুধবার দুপুরে ওই জমিতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা হারেজের একটি টিনের ঘরে তার স্ত্রী গেলে প্রতিপক্ষের বুলবুল, চান মিয়া ও শহীদুলরা ঘরটি তাদের দাবি করে চলে যেতে বলেন। কিভাবে ঘরটি তাদের জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী নূরজাহানকে মারতে উদ্যত হয় প্রতিপক্ষ।এ সময় ওই মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ হাফিজা খাতুন তার শাশুড়িকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হাফিজাকে মারধর করে তার গায়ের কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে প্রতিপক্ষ।
বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা হারেজ কুমার অভিযোগ করে বলেন, বুধবার আমার স্ত্রীকে মারধর করতে না পেরে পুত্রবধূকে প্রহার করেছে। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত জমিটি তার বলে রায় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন ভোররাতে আগুন দিয়ে তার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা হারেছ।
মুক্তিযোদ্ধার আরেক পুত্রবধূ মিসেস আকলিমা বলেন, তাদের স্বামীরা সবাই প্রবাসী। আর এই সুযোগে তাদের ওই জমিটুকু দখল করতে না পেরে এখন আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষরা নিত্যদিন আমাদের ৫ জালের সবাইকে মাথার চুল কেটে দিবে বলে হুমকি দেয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের শহীদুল ও চাঁন মিয়া বলেন, কে বা কারা ঘর পুড়িয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের ফাঁসাতেই তারা মিথ্যা দোষারোপ করছেন। মাজেদুর নিজেই বাড়িতে আগুন দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আশরাফ উদ্দিন ঢালী বলেন, আমার বাড়িটিও পাশেই। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি মুক্তিযোদ্ধার ঘরটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পরে আমি আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনি। যারাই এমন ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িত তাদের সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।