পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে কাজ করার সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পর্যটনশিল্পের সাধারণ অবকাঠামো সরকার করে দেবে, আর বাকি কাজগুলো বেসরকারি খাতকে দিতে হবে। একই সঙ্গে আমি লিজ দেওয়ার পক্ষে নই। পর্যটন বিকাশে সরকার অবকাঠামো তৈরি করে দেবে আর ওরা লিজের নাম করে খেয়েদেয়ে চলে যাবে এর মধ্যে আমরা নেই। আমাদের দায়িত্ব বিদ্যুৎ, সড়ক, নিরাপত্তা দেখা। এগুলো হলো মূল জায়গা।
গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ‘প্রিপারেশন অব ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান ফর বাংলাদেশ: প্রগ্রেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
পর্যটন খাতের বিকাশ জরুরি উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, এ খাতকে পুরোপুরি বেসরকারি খাতে দেয়া উচিত। আরও একটা কথা বলি লিজ সিস্টেম সম্পর্কে। কাল পেপারে পড়েছি এক কোম্পানি লিজের কথা বলে ৫০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে লিজের টাকা কীভাবে যেন মেরে দিয়েছে। বিমানেরও শতকোটি টাকা পাওনা আছে। অনেক পরিচিত ব্যক্তি এগুলো করছে। লিজে অনেক ভয় আছে। গ্রামে থানা নির্বাহী অফিসাররা ছোট ছোট বিল লিজ দিয়ে থাকে। এটা নিয়ে অনেক মামলা হয়। সুতরাং আমি লিজের পক্ষে নই।
তিনি বলেন, সরকার পর্যটন বিকাশে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেবে। এসব খাতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে ঘোরাফেরা করতে পারে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। ন্যাচারাল জায়গাগুলো দেখতে হবে। তবে তাদের কাজ করতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেটাও দেখতে হবে। তাদের নির্বিঘেœ কাজের স্পেস (সুযোগ) দিতে হবে। বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ, অনেকেই এখানে আসতে চাইবে। আমাদের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং স্পটগুলো পরিচ্ছন্ন করতে পারলে অনেকেই দেশে ঘুরতে আসবে বলে আমি মনে করি।
পর্যটন বিকাশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, বছর খানেক আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে বলেছিলেন রাতারগুল, বিছনাকান্দি, টাঙ্গুয়ার হাওড় ও জাফলংয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রের পরিকল্পনা তৈরি করতে। আমাদের নাগরিকরা এখানে যায়। এটার উন্নয়ন খুবই জরুরি। অনেকে এসব খাতে ব্যয় করে। এটা বাংলা টাকা হোক আর ডলার হোক। প্রাথমিক কাজ আমরা করবো বাকি কাজ করবে বেসরকারি খাত।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পর্যটন নিয়ে ভয়ঙ্কর কিছু চিত্র দেখলাম। নারী যায়, পুরুষ যায়, তারা বসার জায়গা পায় না। টয়লেট সুবিধা পায় না। আমরা পর্যটনের বেসিক অবকাঠামো করে দেবো। বাকি কাজগুলো চা শিঙাড়ার দোকান বেসরকারি খাতকে দিয়ে দিতে হবে। আমরা এগুলো চালাতে পারবো না। এম মান্নান বলেন, আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে, ভালো-মন্দ সম্বন্ধে ধারণা আছে। পর্যটনকে টেনে তুলছি। তবে দুটি কারণে এটা বিকাশ হচ্ছে না- একটা সাংস্কৃতিক অন্যটি প্রাকৃতিক। আমাদের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আছে এগুলো সুরক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বিমান প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রেজেন্টেশনে দেশের পর্যটন স্পটগুলোর সম্ভাবনা দেখে ভালো লাগলো। আমাদের উচিত তাদের সুপারিশগুলোকে বাস্তবায়ন করে দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেয়া। এছাড়াও প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি প্রায়ই শুনি বিমানের প্লেন ভাড়া অন্যান্য এয়ারলাইন্স থেকে বেশি। অনুগ্রহ করে বিষয়টি দেখবেন।
দেশের পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ চলছে। আমরা কক্সবাজারের রানওয়ে বড় করছি, সব বিমানবন্দর উন্নয়নেও কাজ চলছে। আমাদের বিমানবন্দর সুইজারল্যান্ডের বিমানবন্দরের মতো হবে, লন্ডনের হিথ্রোর একজন যাত্রী বাংলাদেশে এসে দেখবে হিথ্রো থেকেও দেশের বিমানবন্দর সুন্দর।
প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজমের জন্য সম্ভাবনাময় একটি দেশ। প্রতি বছর শীতের সময় আমাদের দেশে অতিথি পাখি আসে। যদি শুধুমাত্র গরমের জন্যই অতিথি পাখি আসতো তাহলে তারা দুবাই যায় না কেন? তারা দেশে আসে আমাদের মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির জন্য। সমুদ্র, পাহাড় পর্বত কি নেই আমাদের দেশে, আমাদের প্রকৃতি এমন সাজানো গোছানো যা যা দরকার সবই আছে এখানে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ নেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।