Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলে সাড়ে ৩ লাখ পরিবার ভর্তূকি মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১:৪৫ পিএম

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের লাগাতর ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশব্যাপী ১ কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের আওতায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পরিবার টিসিবি’র মাধ্যমে এ সুবিধার আওতায় আসছেন। ইতোমধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠী জেলার গ্রাম থেকে জেলা সদর পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১শ পরিবারের নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ দক্ষিণাঞ্চলের পৌর এলাকাগুলোর জন্য ৯০ হাজার পরিবার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় গত বছর রমজানেও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার পরিবার এ সুবিধা লাভ করেছিলেন।

সরকারী কর্মসূচীর অওতায় সুবিধাভোগী পরিবারগুলো চলতি মাসের শেষভাগে এবং আগামী মাসের মধ্যভাগে টিসিবি থেকে ভতর্’কি মূল্যে নির্দিষ্টহারে খাদ্য পণ্যসমুহ পাবেন। এ কর্মসূচীর আওতায় সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও ভোজ্যতেল, চিনি, মুসুর ডাল, পেয়াঁজ ছাড়াও খজুর ও ছোলাবুট সরবারহ করা হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার দপ্তর থেকে পুরো কর্মসূচীটি সমন্বয় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে তালিকা যাচাই বাছাই করে জেলা প্রশাসনে পাঠিয়েছেন। জেলা প্রশাসনও সেসব তালিকা পরিক্ষা নিরিক্ষা করছে। পাশাপাশি টিসিবি’র সাথেও বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সভা করে কবে কোথায় এসব খাদ্যপণ্য সরবারহ করা হবে তার দিনক্ষন ঠিক করছেন। প্রতিটি কর্মকান্ড বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরকেও অবহিত করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনগুলো থেকে উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় সহ সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে সরকারী নির্দেশনার আলোকে সুষ্ঠুভাবে খাদ্যপণ্য বিতরনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারক করছে । নির্দিষ্ট সময়ে যাতে খাদ্যপণ্য বিতরন নিশ্চিত করা যায় সে লক্ষে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন তাদের দৃড়তার কথাও জানিয়েছেন।

করোনা মহামারী সংকটের মধ্যে গত বছরও সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও ২.৪৫ লাখ পরিবারকে স্বল্প মূল্যে খাদ্যপণ্য বিতরন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও রমজানকে সামনে রেখে এ কর্মসূচী সময়মত বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছে বরিশাল বিভাগ ও বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সহ টিসিবি। এ ব্যাপারে বরিশালে টিসিবি’র আঞ্চলিক দপ্তরের উপ পরিচালক জানান, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাথে কথা বলেছি। সরকারী দিক নির্দেশনার আলোকে ডিলারদের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্যপণ্য পৌছে দেয়ার সব প্রস্তুতি গ্রহন করেছি।
এ কর্মসূচীর আওতায় বরিশারে ৬৭ হাজার ৮৯৭টি পরিবার, পাটুযাখালীতে ৬২ হাজার ৭৫৫টি, ভোলাতে ৩৪ হাজার ৬৫৪টি, পিরোজপুরে ৩৪ হাজার ৩৭৩টি, বরগুনাতে ২৮ হাজার ৮৮৭ এবং ঝালকাঠীতে ২১ হাজার ৮৩৬টি পরিবারকে সরকারী ভতর্’ীকি মূল্যে খাদপণ্য সরবারহের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে এবার বরগুনাতে এ সুবিধাভোগীর সংখ্যা গত বছরের অর্ধেক এবং ঝালকঠীতে ১০ হাজার হ্রাস করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে ‘সরকারী নীতিমালার আওতায় জনসংখ্যার ভিত্তিতেই বিভাজন করা হয়েছে’ বলে জানান হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম এখন সাম্প্রতিক বছরগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায়ে । এ অঞ্চলে সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, চিনি ৮৫ টাকা, আটা ৪০ টাকা, মুসুর ডাল ১শ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রী হচ্ছে। উপরন্তু রান্নার গ্যাসের দাম গত এক বছরে প্রায় দ্বিগুন বেড়ে এখন ১ হাজার ৪৫০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রী হচ্ছে।

সরকারী এ কর্মসূচীর আওতায় রোজার আগে ও মাঝে দুবার নির্দিষ্ট কিছু খাদ্য পণ্য ভতর্’কি মূল্যে সরবারহ করলে বাজারে কিছুটা হলেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশাবাদী বিভিন্ন জেলা প্রশাসন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ