বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজনীতি করতে রাজি না হওয়ায় শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদ নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এছাড়াও বাকি যারা জড়িত ছিল তাদেরকে বিভিন্ন সতর্কীকরণ ও হলের আসন বাতিল করা হয়। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
বহিষ্কৃতরা হলেন- নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল হক হিমেল, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নাঈম আব্দুল্লাহ (যাযাবর নাঈম), লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মোমেন সরকার, একই বিভাগের তানভির আহমেদ তুহিন।
জানা যায়, এই চার শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সাথে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসাথে তাদের স্ব-স্ব হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এই চারজনের সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের অনুসারী।
এছাড়াও বাকি ৭ জনকে বিভিন্ন সতর্কীকরণ ও হলের আসন বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের আবু সোলায়মান নাঈম এর বিষয়ে সতর্কীকরণ পত্র ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে। সেইসাথে তার হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি সারজীল হাসান (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগ), মো. পলাশ (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ), জোবায়ের আহমেদ সাব্বির (ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স সায়েন্স বিভাগ) এই তিনজন শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ পত্র ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে।
মো. ছনিক মিয়া (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ), মো. মোজাহিদ হোসেন সজিব (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ), মো. সৌরভ হোসেন (পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ) এই তিনজন শিক্ষার্থীর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নং কক্ষের বরাদ্দকৃত আসন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশপত্রে আরো বলা হয়, উপরোক্ত সব শিক্ষার্থীর নামে পত্র ইস্যু করা হবে এবং সেই পত্রের কপি সরাসরি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তাদের অভিভাবকের স্থায়ী ঠিকানায় প্রেরণ করার সুপারিশ করা হবে।
এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এরূপ কার্যকলাপে যুক্ত হলে এবং গৃহীত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোন বিশৃংখলা সৃষ্টি করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভা শেষে ভিসি বলেন, তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে নিরপেক্ষতার সাথে সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা কোনো দল বিবেচনা করিনি, আমরা ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনত তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সকল সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই হয়েছে।
এদিকে বহিষ্কৃত চার ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্দোষ দাবি করে গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কর্মীরা বলেন, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত একটি অসংলগ্ন সিদ্ধান্ত। সুষ্ঠু তদন্ত হলে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত আসার কোনো সুযোগই নেই। কেননা ওইদিন রাতে ওই কক্ষে যে ছিলই না, তাকেও শাস্তি দেয়া হয়েছে। ওই কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. মোজাহিদ হোসেন সজিবের আসনও বাতিল করা হয়েছে। অথচ ওইদিন সে ক্যাম্পাসেই ছিল না। এই ধরণের তদন্ত ও সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেয়া যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।