Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অমান্য করে আবাসন নির্মাণের অভিযোগ

ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৯ এএম

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বরগুনার তালতলীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে সরকারি আবাসন নির্মানের অভিযোগে ইউএনওর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের মো. বদরুল আলম বলেন, তাদের রেকর্ডিয় মালিকানাধীন জমিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি আবাসন নির্মাণ করছেন।
তিনি বলেন,, উপজেলা বড়বগি মৌজার এস, এ খতিয়ান-৯২৬/১০৩৭/৬৩৯ নং খতিয়ান ভুক্ত হাল ৪০০০ ও ৩৯৯৩ দাগের ৬.০০ একর ভ‚মির মধ্যে উত্তর - পশ্চিম অংশ হতে ২.৬৭ একর ভ‚মি আমাদের সত্ত¡ দখলীয়। ওই একই মৌজায় ৬০৩ নং খতিয়ান ভ‚ক্ত ১৫.৬০ একর ভ‚মির মধ্যে ৬.০৩ আমাদের দখলীয়। যাহা ৩৯৯৩ দাগে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করেন। কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই প্রথমে রেকর্ডি সম্পত্তি দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পরে আমরা গত ২৫ জানুয়ারি আমতলী সহকারী জজ আদালতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার গ্রহণ করেননি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই জমি দখল নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য ভরাট করে। বিষয়টি বাদীপক্ষ আদালতকে জানান। আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং বলেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোনো প্রকার কাজ করা যাবে না। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদালতের এই আদেশ অমান্য করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ শুরু করেন।
পরে গত ৪ মার্চ আমতলী সহকারী জজ আদালতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন ছাড়াও সহকারী কমিশনার ভ‚মি, উপজেমা ভ‚মি অফিসের কানুণ’গো’, সার্ভেয়ার ও তহসিলদারে বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওছার হোসেন জানান, উল্লেখিত দাগে তিনি আবাসনের কোনো কাজ করেন নাই। তিনি এও বলেন যে, আদালতের শোকজের জবাব দিয়েছেন। তবে আদালতের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত আদালতে শোকজ এর কোনো জবাব দাখিল করেননি। এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জালাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ