Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বরগুনায় ভয়াবহ আগুনে ১৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাই

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৭ এএম

বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার সড়কের বিহারিপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাÐে বসতঘর ও আবাসিক হোটেলসহ ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।
গত সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে এ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। অগ্নিকাÐের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি। অগ্নিকাÐে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে একটি তুলার দোকানে আগুন লাগে। এর ১০-২০ মিনিটের মধ্যে আশপাশের কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যসায়ীরা দাবি করেন প্রায় দশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক ও পৌর মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেন।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বিকেলে পৌর মিলনায়তনে প্রশাসন, স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের নিয়ে করনীয় নির্ধারনে বৈঠক ডেকেছেন। অগ্নিকাÐ কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির মল্লিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি পরিবারের ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সোয়া দশটার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আমাদের একার পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে খবর দিলে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ