বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আপন বড় ভাইয়ের হাতে ছোট বোন খুনের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলাবার উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে এ লোমহর্ষক খুনের ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, উপজেলার ছোট দিঘলীয়া গ্রামের জাকির হোসেনের সাথে দীর্ঘ ২৫ বছর আগে উত্তরপাড়া গ্রামের নুরুন্নাহার বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনের মাঝে পারিবারিক কলহো লেগেই থাকতো। এরই মাঝে এই দম্পতির ঘরে নাসিরউদ্দিন,সিফাতুল্লাহ শফিউল্লাহ ও মেয়ে হালিমা খাতুন(১২) নামে ৪টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদের মধ্যে নাসিরউদ্দিন বরিশালের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। অপরদিকে ছোট ভাই শফিউল্লাহ প্রতিবন্ধী।
ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর উপর অভিমান করে নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায় এবং জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যায়। এ সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে ভাই সিফাতুল্লাহ ও বোন হালিমা খাতুনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিফাতুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিমা খাতুনের গলা কেটে হত্যা করে।স্হানীয়রা জানায় জাকির হোসেন একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। যার জন্য প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার সময় সিফাতুল্লাহ বাবা ও হালিমা খাতুন মায়ের পক্ষ নিতো। সে কারণে সিফাতুল্লাহ তার বোনকে হত্যা করতে পারে।হালিমা খাতুনের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই তখন সিফাতুল্লাহ, হালিমা ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে শফিউল্লাহ বাড়িতে ছিল। সে সময় পারিবারিক কলহো নিয়ে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। আমার ধারণা সিফাতুল্লাহই হালিমাকে হত্যা করেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন,পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাই বোনকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক পর্যায় ধারণা করা হচ্ছে তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা জায়নি। আমরা সিফাতুল্লাহকে আটকের চেষ্টা করছি। সে বর্তমানে পলাতক। তাকে খুঁজে পেলেই হালিমা হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আমরা হালিমা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।