Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দেশ চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও নির্দেশে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

৮ মার্চ ১৯৯৭১। শুরু হয় নতুন পর্যায়ের সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতে থাকে অসহযোগ আন্দোলন। হাইকোর্টের বিচারপতি থেকে সাধারণ মানুষ এতে স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া দেয়। সারাদেশ চলতে থাকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও নির্দেশে। মুক্তি প্রত্যাশী মানুষের ঘৃণা আর প্রতিবাদের মুখে সেনাবাহিনী ব্যারাকে আশ্রয় নেয় এ দিন।

৭ মার্চের রেসকোর্সে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিলেও সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সব বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। বলা যায়, এটা করতে পাকিস্তান সরকারকে বাধ্য করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সিনেমা হলগুলোতে পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন ও পাকিস্তানি জাতীয় সংগীত পরিবেশন বন্ধ রাখে সিনেমা হল মালিকরা। সিনেমা হল মালিকরা সিনেমা কর না দেয়ার নির্দেশও মেনে নেয় স্বেচ্ছায়।

এ দিন ইয়াহিয়া খান নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে এই বলে বার্তা পাঠান, আপনি যা কিছু চেয়েছেন তার চেয়ে বেশি কিছু দিতে আমার আপত্তি নেই। আমি অচিরেই ঢাকায় আসছি, তখন বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এ দিন নূরুল আমিন ও খান এ সবুর এক বিবৃতিতে অবিলম্বে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’ না লিখে শুধু ‘ছাত্রলীগ’ লেখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বঙ্গবন্ধু জনগণের মনে যে আগুন জ্বেলে দিলেন সে আগুন শুধু সামনেই ছুটে চলল। অসত্যের আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত জেনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এলো অপশক্তির বিরুদ্ধে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ