Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার ১

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ৮:৫২ পিএম

কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় সাত বছরের শিশু সুরাইয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সুরাইয়ার বাবা মো. রুবেল তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন মিলপাড়া এলাকার রেজন ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫), মো. দুলুর ছেলে মো. ইনছান (৪৩) ও গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. সুমন। এর মধ্যে গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সুরাইয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বিকেল চারটা থেকে ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই সময় সুরাইয়ার পরিবারের অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যা নয়, সুরাইয়াকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

ওই শিশুকে কেন হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সেই ব্যাপারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাব্বিরুল আলম। তিনি বলেন, শিশুর মৃত্যু নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা ও রহস্য আছে। তবে এটা ঠিক, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েকটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। সেগুলো ধরে আগানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই রহস্য উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হবে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা তাঁদের প্রতিবেশী ও মাদকাসক্ত। আসামিদের সঙ্গে তাঁদের আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছে। তাঁরা যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুরাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।

ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বলছে, শনিবার সন্ধ্যায় যখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সুরাইয়াকে নেওয়া হয়েছিল, তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার খাতায় তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সুরাইয়া পানিতে ডুবে গিয়েছিল। তবে ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুরাইয়ার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা বলেন, সুরাইয়া আত্মহত্যা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করে হচ্ছে, সুরাইয়া আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে এ ঘটনার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ