Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে সিড়ি বেয়ে ব্রিজ পারাপার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ৩:২৯ পিএম

পিরোজপুরের নেছারাবাদে ভরতকাঠি খালের ওপরে নির্মিত গার্ডার ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মান না করায় মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ব্রিজের দুই পাড়ে স্থানীয়দের তৈরী সুপারী গাছের সিড়ি বেয়ে অন্তত ১৫ ফুট উঁচুতে উঠে মানুষের যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক বৃদ্ধ ও শিশুরা উঁচু সিড়িতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় তিনমাস আগে ব্রিজ নির্মান করা হলেও দুই পাড়ে মাটি ভরাট অথবা অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মানের উদ্যোগ নিচ্ছেন না ঠিকাদার। ব্রিজ নির্মানকালীন পাশের বিকল্প কাঠের পুলটিও ভেঙে যাওয়ায় ছোটখাট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে কয়েকমাস যাবত।

জানাগেছে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চাদকাঠি জিসি - ভরতকাঠি সড়কের ভরতকাঠি খালের ওপর ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গার্ডার ব্রিজ এর নির্মান কাজ শুরু হয় ২০১৯ সনের ডিসেম্বর মাসে। মেসার্স ইফতি - ইটিসি (প্রাঃ) লিঃ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুই কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে ওই ব্রিজ নির্মানের কার্যাদেশ পায়। পরে কাউখালীর পলাশ মেম্বর নামে জনৈক সাব কন্ট্রাক্টর ওই ব্রিজ নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছে। নির্মান কাজ সমাপ্ত করার শেষ সময় ছিলো (একাধিকবার সময় বাড়ানোর পরে) ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। ওই সাব কন্ট্রাক্টর পলাশ মেম্বর ব্রিজ নির্মানের শুরু থেকেই বিকল্প পুল নির্মানে দীর্ঘ সুত্রিতাসহ নানাভাবে জনদুর্ভোগ সৃস্টি করে চলছেন। গত নভেম্বর মাসে ব্রিজের ছাদ ও রেলিং নির্মান শেষ হলে ব্রিজের গোড়ায় মাটি ভরাট না করেই ঠিকাদার পলাশ লা পাত্তা হয়ে যায়। এরি মধ্যে বিকল্প কাঠের পুলটিও ভেঙে খালে পড়ে গেলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। পরে স্থানীয়রা সুপারী গাছের সাথে তক্তা পিটিয়ে সিড়ি তৈরী করে মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা চালু রাখেন।জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা এলজিইডি অফিসে ভোগান্তির অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

সাব কন্ট্রাক্টর পলাশের কাছে বলা হলে তিনি আজকালের মধ্যে করে দিবেন বলে ব্যর্থ আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাপোচের কাজ ফেলে রাখার বিষয় সাব কন্ট্রাক্টর পলাশের সাথে কথা বললে তিনি জানান দু -এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবেন।

এ বিষয় ব্রিজ নির্মান কাজের তদারকীর দায়িত্বে থাকা নেছারাবাদ এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন,বার বার তাগাদা দেয়ার পরেও ঠিকাদার পলাশ কাজের ধারেই আসছেন না। আজকালের মধ্যে অ্যাপ্রোচের কাজ শুরু করবেন বলে বার বার ওয়াদা দিয়ে ওই প্রকৌশলীর কাছেও ওয়াদা ভঙ্গ করে যাচ্ছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ