পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তার আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় করোনাতে নতুন রোগী ও শনাক্তের হার সামান্য বেড়েছে। তবে কমেছে মৃত্যু। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (৫ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ৬ মার্চ সকাল ৮টা) করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫২৯ জন। আর মারা গেছেন ৮ জন। করোনার মৃত্যুর চিত্রে দেখা যায় অদৃশ এ ভাইরাসে ঢাকা বিভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর সচচেয়ে কম মানুষ মারা গেছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
এর আগে গত শনিবার ৩৬৮ জন নতুন রোগী আর ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ; আগের দিন যা ছিল ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, নতুন শনাক্ত হওয়া ৫২৯ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৬ জন। আর মারা যাওয়া ৮ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ২৯ হাজার ৮৫ জন। করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৩৪০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২০ হাজার ৬২টি। তবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ১৩২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৪১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৯০ লাখ ১৭ হাজার ২০৮টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৯ হাজার ৭৩৩টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৬ জন আর নারী ২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ৫৬৬ জন আর নারী মারা গেলেন ১০ হাজার ৫১৯ জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছরের আছেন ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের আছেন ৩ জন আর ৩১ থেকে ৬০ বছরের আছেন ৩ জন। মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ জন। বাকি ৪ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ২ জন করে। অধিদফতর জানায়, মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৭ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন একজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। আর কম ময়মনসিংহ বিভাগে। অন্যদিকে ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের বেশি মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, করোনাভাইরাসে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশির সম্ভাব্য সংক্রমণের হার থাকলেও আমরা মৃত্যু খুব বেশি দেখিনি। দেশে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের মধ্যে মৃতের হার হলো ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হার যদি দেখি, সেক্ষেত্রে দেখা যাবে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে, যা প্রায় ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। চট্টগ্রামে ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ, খুলনায় ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, রংপুরে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৩৭ ও ময়মনসিংহে ৩ দশমিক ০২ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা বলেন, বয়সভিত্তিক বিবেচনায় ৫১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আক্রান্তদের ৭০ শতাংশ মারা গেছেন। এর মানে এই নয় যে ৫০ বছরের নিচে কোনো মৃত্যু নেই। ৪১ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ১১ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।