টুইটার ডাউন: সমস্যায় কোটি ব্যবহারকারী
বিশ্বের অনেক দেশে ‘টুইটার ডাউন’। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটার সাপোর্ট সেন্টার টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে।
জীবনের প্রয়োজনীয় এক অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। কত কাজেই না লাগে এটি। যোগাযোগ, ছবি তোলা, নথিপত্র সংরক্ষণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি কাজের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। প্রতিদিনই অসংখ্য ফোন কেনা-বেচা হয়। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্মার্টফোন কেনার আগে অবশ্যই কোন বিষয়গুলো দেখে নিতে হবে।
টেকসই দেহ
বিল্ড কোয়ালিটির মাধ্যমে ফোনটি কতটা টেকসই তা দেখা হয়। গোটা বিশ্বের স্মার্টফোন দুইভাবে বানানো হয়। মেটাল বডি এবং প্লাস্টিক বডি। আবার অনেক ফোনে গ্লাস কোটেড প্যানেলও থাকে। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলে বা আঘাত লাগলে এটি টিকে থাকবে কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মেটাল বা প্লাস্টিক উভয় ক্ষেত্রেই টেকসই করে বানানো হয় বিভিন্ন ফোন। তাই ফোনটি কেনার আগে অবশ্যই এটি টেকসই দেহের অধিকারী কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
ডিসপ্লে
পর্দার আকার ও রেজ্যুলেশন অন্যতম গুরুত্ব রাখে। যদি প্রায়ই ভিডিও বা মুভি দেখেন এবং ছবি এডিট করেন, তবে ভালো মানের পর্দা দরকার। এ ক্ষেত্রে ৫.৫ ইঞ্চি পর্দার ফুল এইচডি বা কিউএইচডি রেজ্যুলেশনের পর্দা দরকার। ৬ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড় আকারের পর্দার ফোন একটু বড় মনে হবে। এটা বহন করাটাও কষ্টকর। এ ছাড়া ই-মেইল বা মেসেজ চালাচালির জন্য ৫ ইঞ্চি পর্দার এইচডি বা ফুল এইচডি পর্দা হলেই চলে।
প্রসেসর
স্মার্টফোনের প্রসেসিং ক্ষমতা এর ওপর নির্ভর করে। স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম, ইউআই, ব্লটওয়্যার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে। যদি ফোট এডিট, ভিডিও, অনলাইনে নথিপত্র এডিটিং বা গেমিং ইত্যাদি ভারী কাজ করতে চান, তবে শক্তিশালী প্রসেসরের ফোন লাগবে। কোয়ালকর স্ন্যাপড্রাগন ৬৫২ মানের প্রফেসর থেকে শুরু করতে পারেন। এ ছাড়া একই ব্র্যান্ড সিরিজের ৮২০ বা ৮২১ মডেলের প্রসেসরে মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন।
ক্যামেরা
বেশি মেগাপিক্সেল মানেই যে ভালো ক্যামেরা তা নয়। অ্যাপারচার, আইএসও লেভেল, পিক্সেল সাইজ, অটোফোকাস এবং আরো অন্যান্য বিষয়ের ভিত্তিতে ক্যামেরার মান নির্ণয় করা হয়। এসবে ভিত্তিতে এমনও হতে পারে যে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার চেয়ে বাজে ছবি ওঠে।
ব্যাটারি
ফোনে কাজ করতে হলে ব্যাটারি শক্তি দরকার। যারা বেশি কাজ করবেন তাদের জন্য ৩৫০০এমএএইচ শক্তির ব্যাটারি দরকার। তা ছাড়া ভালো মানের ফোনের জন্য এমনিতেই বেশি শক্তির ব্যাটারি দরকার।
অপারেটিং সিস্টেম
স্মার্টফোন কেনার আগে ঠিক করে নিতে হবে কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন। অ্যান্ড্রয়েডের সেবা পেতে চাইলে নেক্সাস (যা এখন পিক্সেল হয়ে গেছে), স্যামসাং, মটরোলাসহ অনেক ব্র্যান্ডের ফোন বাজারে রয়েছে। আর আইওএস এর জন্য অ্যাপলের আইফোন। এদের অনেকে আবার উইন্ডোজ ওএস এর ফোনও তৈরি করে। এ ছাড়া জনউইআই, এক্সপেরিয়াউইআই, স্যামসাং টাচউইজ, এফএমইউআই এবং অন্যান্য কিছু ইন্টারফেস রয়েছে বাজারে।
স্টোরেজ
প্রয়োজন অনুযায়ী স্টোরেজ বেছে নিতে হবে। সাধারণত ১৬জিবি, ৩২ জিবি এবং ৬৪ জিবির স্মার্টফোন পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতে ১২৮ জিবি বা ২৫৬ জিবিও মেলে। আপনার ব্যবহার অনুযায়ী স্টোরেজ বেছে নিন।
বাড়তি ফিচার
একেক ব্র্যান্ডের একেক মডেলে বিশেষ ফিচার দেওয়া থাকতে পারে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, লক বা আনলক করার সিস্টেম, পাসওয়ার্ড দেওয়ার বিষয় ইত্যাদি দেখতে হবে। অনেক কম দামের ফোনেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর মেলে। কিন্তু সেগুলো গুণগত মানের দিক থেকে ভালো নয়।
স্পিকার
যারা গান শুনতে পছন্দ করেন তাদের এদিকটা খেয়াল করা দরকার। ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্যও অডিও কোয়ালিটি ভালো হওয়া প্রয়োজন। যন্ত্রের সামনের দিকে স্পিকার থাকলে তার আওয়াজ ভালো পাওয়া যাবে। আর সাইডে থাকলে ফোনটি যেভাবেই রাখেন না কেন, শব্দ আটকে যাবে না।
ইউএসবি পোর্ট
যদিও এখন ইউএসবি বা ইউএসবি-সি পোর্টের ফোন বাজারে পাওয়া যায়। অবশ্য ইউএসবি-সি একটু দামি। নিজের সুবিধামতো একটি পোর্টের ফোন বেছে নিতে পারেন। সূত্র : হেজেট স্নো
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।