পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবর্তনের প্রত্যাশা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানুষ জেগে উঠছে, জেগে উঠবে ইনশাল্লাহ। এই আশা করি যে, এই অন্ধকার কেটে যাবে। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করি; এই ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী হেলপ সেলের উদ্যোগে বর্তমান সরকারের আমলে গুম-খুনের শিকার নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অনুদান প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গুম-খুন-নির্যাতিত ১৫ পরিবারের শিশুদের মাঝে ‘শহীদ নুরুল আলম উপবৃত্তি’ প্রদান করা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে দেশকে ভয়াবহ নরকে পরিণত করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোর্টে যখন যাই, সেখানে গিয়ে অন্য কোনো লোককে খুঁজে পাই না, সব আমাদের লোক। এমন অনেকে আছে তারা নেতাও নন, যারা হয়তবা সমর্থক তাদের বিরুদ্ধেও অসংখ্য মামলা। চলছেই সেই ধারাবাহিকতা, এখনও বন্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, তুলে নিয়ে গেছে, তুলে নিয়ে গিয়ে ওইখানে গুলি করে হত্যা করেছে বা পঙ্গু করে দিয়েছে। এটা একটা ভয়াবহ নরকে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে। যে দেশের মানুষ অল্পতে সন্তুষ্ট থাকে, সেই দেশটাকে আজকে তারা ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে।
গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এই যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে, এর জন্য দায়ী প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হবে এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। জনগণই তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। আমরা সেজন্যই বলছি যে গণতন্ত্র যখন থাকে না তখন সব কিছুই অসাড় হয়ে যায়, তখন এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে। তাই আমাদেরকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে।
গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের দিকে তাঁকিয়ে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এই পরিবারগুলোর দিকে তাকিয়ে নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয়। কেন এই শিশুরা যন্ত্রণা পাচ্ছে? তারা শুধু মানসিক না তারা আর্থিক দিক থেকেও অত্যন্ত কষ্টে আছে। এমনও পরিবার আছে যে, ওই বাচ্চাটার লেখাপড়ার খরচ জোগানো কঠিন হয়ে গেছে, চিকিৎসার খরচ যোগানো কঠিন হয়ে গেছে। আমরা তো তাদের পাশে ঠিক সেই ভাবে দাঁড়াতে পারিনি। আমি আশা করি, এই বিষয়টাকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে তাদের জন্য যেন আমরা একটা বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারি, যে তহবিলের মধ্য দিয়ে অন্তত বাচ্চাদের লেখাপড়ার বিষয়টা দেখা যেতে পারে। আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত নেব।
স্বজনের খোঁজ না পাওয়া পরিবারগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা একা নাও। তোমাদের পাশে সারা দেশ আছে, সারা দেশের মানুষ আছে।
সংগঠনের সদস্য তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ও মামুন খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির আবদুস সালাম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, সাঈদ আহমেদ জুয়েল বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে গুম-খুন-নির্যাতিতদের মধ্যে সাংসদ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, ছাত্রদলের নুরুল আলম নূরুর মেয়ে উম্মে হাবিবা মীম, পারভেজ রেজার মেয়ে হৃদি, স্বেচ্ছাসেবক দলের কাউসার আহমেদের মেয়ে লামিয়া আখতার মীম, পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত শাহ রাজিব আহমেদ রিংগল তাদের বেদনার কথা তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।