Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অপেক্ষার প্রহর গুণতে শুরু করেছেন মহানগরবাসী

বরিশাল সিটি নির্বাচন জাতীয় পার্টি আগাম প্রার্থী ঘোষণা করলেও জনমনে প্রভাব নেই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০২ এএম

আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের আগেই বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়ে মহানগরবাসী অপেক্ষার প্রহর গুণতে শুরু করেছেন। তবে ২০১৮ সালের বরিশাল সিটির চতুর্র্থ নির্বাচনের মতো আগামী বছরের ভোট গ্রহণ হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল ও আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকসহ নগরবাসীর মধ্যেও। যদিও আসন্ন এ নির্বাচন নিয়ে মূল বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে এখনো কোনো আগ্রহ লক্ষণীয় নয়। তবে দলটির প্রার্থী নিয়েও এবার নানামুখী অনিশ্চয়তা কাজ করছে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রার্থী বাছাই নিয়েও কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলসহ সাধারণ নগরবাসীর মধ্যেও।

তবে জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও এ নগরীর সাধারণ ভোটারগণ দলটির কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করাকে এখনো তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বিগত সিটি নির্বাচনে ইকবাল হোসেন তাপসকে মনোনয়ন দিয়ে মাঝ পথে ভোটের লড়াই থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় জাতীয় পার্টি। তবে প্রার্থী ইকবাল পার্টির সিদ্ধান্তের বাইরে দলীয় প্রতীক নিয়েই মাঠে ছিলেন ভোটের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত। এমনকি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটের মাঠে থাকায় তাকে বহিষ্কার করা হলেও আগামী নির্বাচনের এক বছর আগেই তাকে পুনরায় দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে জাতীয় পার্টির এ সিদ্ধান্তে জনমনে কোনো প্রভাব না পড়লেও দলীয় পূর্ণ সমার্থন ও সিদ্ধান্ত নিয়েই আগামী সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছেন ইকবাল হোসেন। তার মতে, জাতীয় পার্টি এখন অনেক সংহত ও শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকাতেই রয়েছে। আর সে আলোকেই আগামী বরিশাল সিটি নির্বাচনে তার দল অংশ নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে শাষক মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতো সাধারণ মানুষের মধ্যেও ইতোমধ্যে নানা প্রশ্ন ও কৌতুহল কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যেও নানা মহল তৎপড় বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় একটি বড় অংশই আগামী সিটি নির্বাচনে বরিশালের মেয়র প্রার্থী পরিবর্তনের পক্ষে বলে জানা গেছে। তবে বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ আবারো মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে দৃড় আশাবাদী। আর এ লক্ষ্যে দলে তার পক্ষেও শক্তভাবে কথা বলার মতো নেতা আছেন। তবে সম্প্রতি বরিশালে প্রশাসন ও পুলিশের সাথে মেয়ারের অপ্রীতিকর ঘটনা সহ দুরত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিসহ সার্বিক দিক বিবেচবনায় নিয়েই দলীয় সভানেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
বরিশাল মহানগরীতে ভোটের দামামা না বাজলেও বিষয়টি নিয়ে নিরবে অনেকেই সক্রিয়। ভোটারদের মধ্যেও আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। বিগত সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে দায়িত্ব গ্রহণের পরে সাধারণ ভোটারগণ বর্তমান নগর পরিষদের কাজের হিসেব রাখছেন। লক্ষ্য রাখছেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ ভালÑমন্দ সব কিছুরই। বর্তমান নগর পরিষদ কতটা জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য সে বিষয়টি আগামীতে মূখ্য ভূমিকা রাখতে পাড়ে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
পাশাপাশি বিএনপিসহ সমমনা জোটের প্রার্থী নিয়েও যথেষ্ঠ অনিশ্চয়তা কাজ করছে। ইতোপূর্বে এ সিটি নির্বাচনে মুজিবুর রহমান সারোয়ার ও আহসান হাবীব কামাল বিএনপিসহ জোটের প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু এ দুজনই দলটির স্থানীয় রাজনীতিতে কিছুটা কোনঠাশা। এমনকি সদ্য গঠিত বরিশাল মহানগর ও দুটি সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক কমিটির অনেকেই এ দুজনকে কোনো নির্বাচনে না চাইলেও তাদের বিকল্প কোনো প্রার্থী তারা দিতে পারবেন বলেও মনে করছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
তবে মুজিবুর রহমান সারোয়ারের বিপক্ষে বরিশালে ও কেন্দ্রে দলের অভ্যন্তরে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী না হলেও এখনো যথেষ্ঠ সক্রিয়। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এতদিনের বিএনপির শক্ত ঘাটি বরিশাল এ তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি কোনো পর্যায়ে থাকে, তার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ