Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল - চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ৯:৫১ পিএম

জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়া থেকে ভারত কেন বিরত ছিল তা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলবেন কি ? এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল, বহুক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সময় ভোটদানে বিরত থাকে। এবার যখন জাতিসংঘে প্রস্তাব আনা হয়, তখন ভারতসহ আরো অনেকগুলো দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা সংবিধানের মূল্যবোধের পরিপন্থী, রাশিয়ার সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য কৌশল অবলম্বন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসা থেকে তথ্যমন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁও ফিল্ম আর্কাইভে ১৫ তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব, আমরা অবশ্যই যেকোন সংঘাত-যুদ্ধের বিরোধী। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপিত হোক, শান্তি বিরাজ করুক সেটিই আমরা চাই। জাতিসংঘে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল, ভারতও বিরত ছিল। এখন ভারত কি কারণে বিরত ছিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি সেই ব্যাখ্যাটা দেন খুব ভালো হয়।

তিনি বলেন, আসলে কোন ইস্যু নাই তো, তাই মির্জা ফখরুল জাতিসংঘ ও ভোটদান নিয়ে কথা বলেন, আবার খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ পাঠানো না হয় জীবন সঙ্কটাপন্ন, এগুলো বলে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করেছিল, তারা যখন আন্দোলন করছেন তখন খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন, তখন তারা প্রচণ্ড হতাশ হলেন। এখন খড়কুটো ধরে তারা রাজনৈতিকভাবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মাত্র।

বাংলাদেশ এখন দ্রব্যমূল্যের দিক থেকে দুর্বিষহ অবস্থানে আছে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে সবসময় দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, যখন চল্লিশের দশকে বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয় তখন দ্রব্যমূল্য অনেক কম ছিল, তখন এক টাকায় অনেক কেজি চাল পাওয়া যেত। এখন তো এক টাকায় এক কেজি চালও পাওয়া যায় না। তখন এক আনায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেত। তখন কিন্তু দুর্ভিক্ষ হয়েছে, কারণ তখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ছিল না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ