রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শীতল হিমেল হাওয়া শেষের দিকে। এ হালকা হালকা ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরগুনা সদর উপজেলার অধিকাংশ মাঠে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে চাষিদের কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবস্থা করেছেন। সরেজমিনে ঘুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পিটিআই গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে এমনটাই দেখা গেছে।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ছড়িয়েছে। তবে বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার হেক্টর ধরা হয়েছে। উপজেলার বদরখালী, ফুলঝুরি, কেওড়া বুনিয়া, আয়লা-পাতাকাটা, বুড়িরচর, বরগুনা সদর, এবং নলটোনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বোরা ধানের চারা রোপণের ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
আয়লা-পাতাকাটা গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরি করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়েই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আশা করছি এবার বোরো আবাদের বাম্পার ফলন হবে। তিনি এটাও বলেন, এবার শীত মৌসুমে শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াশা ও কনকনে শীতের মধ্যেই বীজতলা তৈরি করে এখন তা রোপণ করতেছে আমাদের কৃষকরা।
বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বদরুল আলম বলেন, বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। আশা করছি এবছর বোরো ধানের ভালো ফলন হবে। চলতি মৌসুমে বরগুনা জেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার তা অতিক্রম করে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ছড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।