Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঋণ গ্রহণ না করেও খেলাপি ঋণ গ্রহীতা

প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ঋণ গ্রহন না করা স্বত্বেও গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে জনৈক মো. রুহুল কুদ্দুসের নামে সিআইবি রিপোর্টে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে ভুয়া ঋণ খেলাপি দেখানোর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার দাবি করা হয়। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের চকনদী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মো. রুহুল কুদ্দুস সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে সরকারি চাকরিজীবী হিসাবে সুনামের সাথে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে সাদুল্লাপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ঋণের জন্য আবেদন করেন। সেখানে তাকে জানানো হয়, তার নামে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ট ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে খেলাপী ঋণ রয়েছে। তিনি অগ্রণী ব্যাংক সাদুল্লাপুর শাখার সূত্র ধরে নানাভাবে যোগাযোগ করে জানতে পারেন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, ঢাকা গুলশান শাখায় তার নামে ওই খেলাপি ঋণ রয়েছে। তখন রুহুল কুদ্দুস স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক বগুড়া শাখার শরনাপন্ন হন। সেখানে তিনি জানতে পারেন কে বা কারা তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া মোবাইল নম্বর, ই-মেইল নম্বর, বর্তমান ঠিকানা ও চাকরির তথ্যাদি ব্যবহার করে।
এছাড়া ওই ঋণ নেয়ার সময় কাগজপত্রে ইনসেপ্টা ঔষধ কোম্পানির বেতন শিট ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি কোনদিনই ওই ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করেনি।
তিনি আরও বলেন, তিনি কখনই স্ট্যান্ডাড চ্যাটার্ড ব্যাংক থেকে কোন ঋণ গ্রহণ করেননি। তাই ওই ঋণের দায় থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি আবেদন করেছেন। কিন্তু ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নানা তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছেন। ভুয়া ঋণ খেলাপির বিষয়টি তিনি জানার পর ঢাকা গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে রুহুল কুদ্দুস যথাযথভাবে সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ওই ঋণের দায় অব্যাহতি দানের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. আমিনুর রহমান, মো. মাসুদ পারভেজ, মো. এমরান মিয়া ও মোছা. তামান্না আকতার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ