রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাতের আঁধারে ফরিদ হোসেন নামে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এক গ্রাহকের বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নামে তল্লাশী চালিয়ে গ্রাহকের মিটার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির শালাইপুর সাব-স্টেশনের ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজন লাইনম্যানের বিরুদ্ধে।
শুকানপুর গ্রামের ফরিদ হোসেন বলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শুকানপুর গ্রামে কিছুদিন আগে হঠাৎ করে রাতের বেলায় পারা প্রতিবেশী কাউকে না জানিয়ে শালাইপুর সাব-স্টেশনের ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজন লাইনম্যান আমার বাড়িতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নর নামে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী চালিয়ে অবৈধ সংযোগ না পেয়ে পরে মিটারের তারে নাকি ফুটা পাওয়ার অভিযোগে বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে এবং পরের দিন সকালে আমাকে তাদের শালাইপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে দেখা করার জন্য আমার স্ত্রীকে বলে আসেন।
পরের দিন সকালে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বড়পুকুরিয়া সাব-স্টেশনের ইনচার্জ আনোয়ারুলের সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমাকে বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারলে মোটা অংকের জরিমানা হবে। তার থেকে আমাকে ৪০ হাজার টাকা দেন বিষয়টি এখানেই মীমাংসা করে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগিয়ে দিব। এই শুনে বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পরে অফিসের লোক এসে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগিয়ে দিয়ে যায়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় ১০ হাজার টাকা নিয়ে আনোরুলকে দিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার কয়েকদিন পরে পুনরায় আনোয়ারুল আমার বাড়িতে গিয়ে মিটার ভাঙার জন্য পায়তারা করে এবং আমার বাড়িতে গিয়ে বলে স্ত্রীকে বলে আপনার স্বামীকে একটা ভালো মিটারের জন্য অফিসে আবেদন করতে বলবেন। এসময় আশপাশের লোকজন এসে ভিড় করলে তারা মিটার না ভেঙে চলে আসেন। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি পাঁচবিবি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের জানালে তারাই আবার আমার ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির শালাইপুর সাব-স্টেশনের ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিচিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আব্দুল বারী বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে ওই গ্রাহকের ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. এনামুল হক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ওই গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের পরে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা। পরে অফিসিয়ালভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার পরে ওই গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে অফিসিয়ালভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির আগে তিনি ওই গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। এই বিষয়টি তিনি অনিয়ম করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।