Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২২, ৮:১৪ পিএম | আপডেট : ৮:১৭ পিএম, ৫ মার্চ, ২০২২

আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন। ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে একাধিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ১২০টি পদে এই নির্বাচনে ভোটারাগণ ভোট প্রদান করবেন। তবে ভোটের আগেই নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন একটি প্যানেলের প্রার্থীরা। শনিবার শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের (ব্যালট-খ) পরিচিতি সভা ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে ঢাকা কলেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।

প্যানেলের প্রার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেন। এই প্যানেলে প্রার্থীদের অভিযোগ, মাউশির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রার্থী হয়ে কলেজের অধ্যক্ষও শিক্ষকদের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাঁধা দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবীর চৌধুরী সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এটি মাউশির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ।

সম্মেলনে ‘আজমতগীর-জাফর’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। তবে সব বাধা এগিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

মহাসচিব প্রার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষা ক্যাডার আজ পেশাগত ও সাংগঠনিক সমস্যায় জর্জরিত। চরম হতাশায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র গোষ্ঠী স্বার্থে সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর হাত থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে চাই।

ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রার্থী যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দেখেই নির্বাচিত করবেন।

এই প্যানেলের ইশতেহারের মধ্যে আছে, শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে অগ্রাধিকার বিবেচনায় ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন। ২০১৫ সালের পে-স্কেল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত কোর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ আপগ্রেডেশন ও পদ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। যথাসময়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৯৮৭ সালের সমীক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা। পদোন্নতির শর্ত পূরণকারী সব সদস্যের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে দ্রæত পদোন্নতির ব্যবস্থা নেয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ