বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান। কলেজের প্যাথলজি কার্যক্রম হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে মেমো না করার কারণ দেখিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। ফলে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) থেকে যশোর মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল। বিষয়টি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে। যার স্মারক নাং-যশোর/শ-৬/৪০৯৭।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অর্থনৈতিক সকল খাতে দুর্নীতিমুক্ত করতে কর্তৃপক্ষ প্যাথলজি, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটিস্ক্যান বাবদ ধার্যকৃত টাকা শতভাগ ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ৬ জুন থেকে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। অথচ মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগ এখন পর্যন্ত ক্যাশ কাউন্টারের আওতায় আসেনি। এতে সরকারি অর্থের সঠিক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সরকারি অর্থ সঠিক হিসাব সংরক্ষণের জন্য প্যাথলজি কার্যক্রম হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে মেমো করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়। এজন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে ক্যাশ কাউন্টারে আলাদা কম্পিউটার ও অপারেটর প্রদান করা হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দীপাঞ্জন সাহা জানান, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সাথে মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগ কাজ করছে। কিন্তু হাসপাতালের সকল আর্থিক লেনদেন ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে করা হলেও মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম এখনও ক্যাশ কাউন্টারের বাইরে রয়েছে। ফলে আর্থিক দুর্নীতির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মেডিকেল কলেজের কার্যক্রমও ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে করার জন্য একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, হাসপাতালের সকল আর্থিক লেনদেন ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি কার্যক্রম এখনও ক্যাশ কাউন্টারের বাইরে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্তমতে মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি কার্যক্রম হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারের মাধ্যমে করতে হবে। এতে সকলে একমত পোষণ করেন। সেমোতাবেক কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালে মেডিকেল কলেজের সকল প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যমেক’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মহিদুর রহমান জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। হাসপাতালের অর্থনৈতিক কোড এবং মেডিকেল কলেজের অর্থনৈতিক কোড আলাদা। ফলে হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারে যে টাকা জমা হবে তা হাসপাতালের কোডে জমা হবে। এজন্য বর্তমানে হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টার থেকে মেমো করা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি লিখিত আকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। সেখান থেকে মতামত না আসা পর্যন্ত প্যাথলজি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।