Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যশোররে শিক্ষকের লাঠির আঘাতে ছাত্রের চোখ নষ্ট

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ৭:৪২ পিএম

যশোরের মণিরামপুরে শিক্ষকের লাঠির আঘাতে আরিফুল ইসলাম (১৬) নামে এক কওমি মাদরাসা ছাত্রের বাম চোখ নষ্ট হতে চলেছে। না পড়ে বসে থাকার কারণে শিক্ষক হাফিজুর রহমান পিটিয়ে তার চোখের কর্ণিয়া নষ্ট করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

গেলো সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের একটি হেফজ মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরিফুল শ্যামকুড়ের বুজতলা ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হাফিজীয়া মাদরাসা ও এতিম খানার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সে উপজেলার জোঁকা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে। গত তিন দিন ধরে ওই কিশোর ঢাকা ইস্পাহানি ইসলামী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান মাদরাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। তার বাড়ি ঢাকার মানিকগঞ্জে।
অসুস্থ আরিফুল বলে, দেড় বছর ধরে আমি ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হাফিজীয়া মাদরাসায় পড়ি। আমি আল কোরআনের ১৫ পারা হেফজ সম্পন্ন করেছি। গেলো সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদরাসায় পড়ছিলাম। আগে থেকে সমস্যা থাকায় পড়ার সময় আমার চোখে চশমা ছিলো। পড়া থামিয়ে আমি বসে থাকায় হুজুর ডেকে মারপিট করেন। একপর্যায়ে শিক্ষকের বেতের আঘাত আমার বাম চোখে লাগে। এসময় চশমা ভেঙে কাচ ভিতরে ঢুকে চোখের কালো অংশ তিন ভাগ হয়ে যায়।
আরিফুলের বড় ভাই মামুন হোসেন বলেন, গত সোমবার এ ঘটনা ঘটলেও শিক্ষকরা আমাদের কিছু জানাননি। তারা নিজেরা আরিফুলকে মণিরামপুর ও যশোরে ডাক্তারের কাছে নেন। সেখানে ব্যর্থ হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের খবর দেন।
আরিফুলের পিতা আয়ুব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে আসি। ছেলের চোখের অবস্থা ভাল না। ওরে নিয়ে দৌঁড়াতে গিয়ে থানায় অভিযোগ করতে পারিনি।
আয়ুব হোসেন আরো বলেন, ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আমাদের সাথে ঢাকায় আছেন। তারা চিকিৎসার সব খরচ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও পরিচালক হাফিজুর রহমানকে কল করা হয়েছে। তিনি ফোন ধরেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ