পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচন করব না। আমরা এই সরকারকে মানি না। এরা ডাকাত, রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে। এরা জালিম। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগের পর ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচন কমিশন করে ‘ফাইজলামি’ করে কোনো লাভ হবে না। বর্তমান সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নাই।
বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জেএসডি আয়োজিত ‘২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫১তম বছর ও বাঙালির তৃতীয় জাগরণের মাইলফলক’ শীর্ষক এক স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রব বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যাদের অবদান তাদের কাউকেই এই সরকার স্মরণ করে না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। কিন্তু মাওলানা ভাসানীর নামটা একবার উচ্চারণ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যিনি ৯ মাস সরকার চালিয়েছেন, সেই তাজউদ্দীনের নামটাও একবার উচ্চারণ করা হয় নাই। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন জেনারেল এমএজি ওসমানীর নামও একবার উচ্চারণ করার নাই। কাদের সিদ্দিকীর নাম একবার উচ্চারণ করা হয় নাই। স্বাধীনতার ইতিহাস এক দল ও এক পরিবারের কাছে বলি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার সব খেয়ে ফেলেছে। দেশটা খেয়ে ফেলছে, স্বাধীনতা খেয়ে ফেলছে। তাই আমি আজকে পতাকা উত্তোলনের কোনো স্মৃতিচারণ করব না। ৫০ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয় সম্পদে রূপান্তর করা হয়েছে।
আসম রব বলেন, এই দেশকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় সরকার গঠন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও সাংবিধানিক অধিকারকে ধ্বংস করে দিল। এই দল ক্ষমতায় থাকলে কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই সরকারকে বিদায় করে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিবে, তাতে আমরা নির্বাচন করব।
সভায় আরও উপস্থিত আছেন- বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নুরুল হক নুর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।