বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, এসপি সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তিনি বলেন, এসপি হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ও নার্স শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত এক বছর থেকে কোম্পানীগঞ্জে সন্ত্রাস চলছে। প্রকৃত অপরাধীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, থানায় অবস্থান করছে। পুলিশ জনগণের অতন্ত্র প্রহরী না হয়ে জনগণের উপর অত্যাচার করছে। কোম্পানীগঞ্জে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এটার সাথে এসপি, ইউএনও-ওসি জড়িত। খুনির কাছে খুনির বিচার চেয়ে কোনো লাভ নেই। এখানে আন্দোলন করতে হবে।
মির্জা বলেন, এসপিকে নোয়াখালী থেকে ইউএনও ও ওসিকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে চলে যেতে হবে। এটার বিকল্প নেই। তাদেরকে বিড়াড়িত করতে। এখন সময় এসেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ সবাইকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার। ওবায়দুল কাদের সাহেব কোম্পানীগঞ্জের যদি এগুলোর বিচার না করা হয়। আপনাকে সব দায় দায়িত্ব নিতে হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যানকে সমস্ত দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবেনা। কাদের মির্জার মন্তব্যের বিষয়ে জানতে দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাঁর মুঠোফোনের হোয়াটসঅ্যাপে খুঁদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত বসুরহাট মডার্ণ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন নিহত প্রিয়তা। পরের দিন সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পাশের একটি ধান খেত থেকে শাহানাজ পারভীন প্রিয়তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা পার্শ্ববতী কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নুরনবীর মেয়ে। সে সরকারি মুজিব কলেজ স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি বসুরহাট মর্ডাণ প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।