Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীতে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২২, ৬:৪০ পিএম | আপডেট : ৭:২৩ পিএম, ১ মার্চ, ২০২২

নোয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যেগে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’২০২২ উদ্যাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে সশস্ত্র সালাম প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার প্রথমে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী’র কমান্ড্যান্ট এস এম রোকন উদ্দিন, ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম, পুলিশ সুপার সিআইডি, কমান্ড্যান্ট, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, পুলিশ সুপার, পিবিআই, র‌্যাব-১১, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। এ সময় শহীদ পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত শহীদ মনিরুল হক হলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম এর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বেগমগঞ্জ সার্কেল নাজমুল হাসান রাজিবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিটিসি, নোয়াখালী’র কমান্ড্যান্ট এস এম রোকন উদ্দিন, ডিআইজি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা। পরবর্তীতে নিহত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এর স্ত্রী পারভীন আক্তার, নিহত কনস্টেবল রুহুল আমিন এর স্ত্রী এবং নিহত কনস্টেবল আব্দুর সাত্তারের মেয়ে সানজিদা আক্তার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কে.জি স্কুলে নিহত পুলিশ সদস্যের সন্তানদের বিনা বেতনে পড়াশুনার ব্যবস্থা করবেন। ২০২০ সালের পূর্বে কর্তব্যরত অবস্থায় যে সকল পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার যাতে আজীবন পারিবারিক রেশন পান সে জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ বিষয়ে পত্র প্রেরণ করবেন। জেলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের যে কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর, নোয়াখালীকে ফোকাল পয়েন্ট অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করেন। এছাড়াও পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীর ক্ষেত্রে নিহত পুলিশ সদস্যের সন্তানরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুলিশ সুপার নোয়াখালী মহোদয় তার পরবর্তী ব্যবস্থা করবেন মর্মে জানান। অন্যান্য চাকুরীর ক্ষেত্রে নিহত পুলিশ সদস্যের সন্তানদের কোন সুপারিশ প্রয়োজন হলে পুলিশ সুপার, নোয়াখালী মহোদয় নিজেই সুপারিশ করবেন মর্মে জানান। এই স্বাধীনতার মাসে ১৯৭১ সালে রাজারবাগে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পরবর্তীতে আইজিপি’র পক্ষ হতে করোনায় আক্তান্ত হয়ে নিহত পুলিশ সদস্যের জন্য সনদ, ক্রেস্ট, উপহার সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান এবং নোয়াখালী জেলা পুলিশের পক্ষ হতে নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদেরকে উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এক মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ