বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণ আক্তারের আইনি লড়াইয়ে হাইকোর্টের রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার (২ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে ভার্চুয়ালি এ শুনানি হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, আদালতে শুনানি হয়েছে। আদালত বুধবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। তবে আদেশের আগে বুধবার আংশিক শুনানি হতে পারে।

এর আগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান-এর বেঞ্চে ভার্চ্যুয়ালি এই শুনানির কথা থাকলেও আদালত না বসায় শুনানি হয়নি।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খান-এর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। এমনকি এই পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খান-এর পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সেই বিষয়ে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জায়েদ খান-এর প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

নিপুণ-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খান-এর পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সেই বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। এরপর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এদিকে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন জায়েদ খান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এর আগে জায়েদ খানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এই বিষয়ে রুল জারি ও আদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একই সঙ্গে আদেশে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করে। এই সময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির জন্য বলেন।