Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীতে রাতে ৫টি গরু চুরি, সকালে ৪টি উদ্ধার!

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২২, ২:৫৩ পিএম

বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শিকদার বাড়ি এলাকায় আজ মঙ্গলবার (১লা মার্চ) গভীর রাতে একই বাড়ির ৫টি গরু চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটলেও সকালে ৪টি গরু পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে আমতলী থানা পুলিশ।

ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোসেন শিকদার কৃষি কাজের পাশাপাশি সে গরু পালতো। মাঝেমধ্যে গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের কিছু বাড়তি উপার্যন হতো। তিনি দাবী করেন, গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় তার পালিত ৫টি গরু গোয়াল ঘরে উঠিয়ে রাতে বাড়িতে ঘুমিয়েছেন। গভীর রাতে গোয়াল ঘরের তালা ও শিকল ভেঙে চোরের দল ১টি কালো রংয়ের গাই গরু, ১টি ছাই রংয়ের গাভিন গরু, ১টি দোসনা বাছুর, ১টি কালো এবং ১টি সাদা রংয়ের ছোট বাছুর গরু চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে গোয়ালে ঘরে গিয়ে দেখেন একটি গরুও নেই। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।

খুব সকালে গরুগুলো চুরির হওয়ার ঘটনা মালিক হোসেন শিকদার আমতলী থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ সকাল ১০টার দিকে আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী এলাকায় নদীর চর থেকে (ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে) পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪টি গরু উদ্ধার হওয়ার ঘটনা স্থাণীয় গ্রাম পুলিশ জুয়েল গাজীর মাধ্যমে জানতে পারেন। পরে পুলিশ চুরি হওয়ার গরুর মালিক হোসেন শিকদারকে সাথে নিয়ে উদ্ধার হওয়া গরুগুলো শনাক্ত করেন। পরে তার জিম্মায় গরুগুলো দেওয়া হয়। তবে একটি বাছুর গরুর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

স্থাণীয়রা জানায়, হঠাৎ করে রাতে ওই গরুগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি একদম নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছিলো। ভূক্তভোগী ওই পরিবারটি যখন চোঁখে অন্ধকার দেখার মতো অবস্থা ঠিক সেই মুহুর্তে আমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় চুরি যাওয়া ৫টি গরুর মধ্যে থেকে ৪টি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

স্থাণীয় গ্রাম পুলিশ জুয়েল গাজী বলেন, সকালে স্থাণীয়রা নদীর চরে অপরিচিত ৪টি গরু দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি গিয়ে গরু ৪টি উদ্ধার করে থানায় সংবাদ দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার হওয়া ওই ৪টি গরুর মালিক তার বলে শনাক্ত করে। পরে তার জিম্মায় গরুগুলো দেওয়া হয়েছে।

চুরি হওয়া গরুর মালিক হোসেন শিকদার জানান, সংসারের বাড়তি উপার্যনের জন্য আমি কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু পালতাম। আজ গভীর রাতে কে বা কাহারা আমার পালিত ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে চুরি যাওয়া গরুগুলো যাতে আমি ফিরে পেতে পারি তার জন্য থানায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগীতা চাই। এরপর সকাল ১০টায় থানা থেকে আমাকে জানানো হয় যে, পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪টি গরু আমতলী সদর ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে আমার গরুগুলোকে শনাক্ত করি। ১টি বাছুর গরু এখনো আমি পাইনি।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান মীর বলেন, রাতে গোয়াল ঘরের তালা ও শিকল ভেঙে ৫টি গরু চোরেরা নিয়ে গেছে। এলাকায় চোরের উৎপাত খুব বেড়েছে। দ্রæত চোরদের শনাক্ত করে ধরার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, সকালে পৌর এলাকায় ৫টি গরু চুরির ঘটনা শুনে এবং স্থাণীয় গ্রাম পুলিশ জুয়েল গাজীর তথ্যমতে পুলিশ পাঠিয়ে সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামের নদীর চর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। পরে চুরি যাওয়া গরুর মালিক গিয়ে উদ্ধার হওয়া গরুগুলো তার বলে শনাক্ত করে। তারপর গরুগুলো তার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। বাকী একটি গরুর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ