Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরীফ উদ্দীনকে চাকরিচ্যুতি হাইকোর্ট কারণ জানতে চাইলেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২২, ১২:০২ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা শরীফ উদ্দীনকে চাকরিচ্যুতর কারণ এফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংস্থার অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। শুনানিতে দুদকের পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। সরকারের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। গত ২৩ ফেব্রæয়ারি দুদকের আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীনকে অপসারণের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দশ আইনজীবী। আবেদনে আইনজীবীরা হলেন, শরীফ উদ্দীনকে অপসারণের পর দুদকের বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। শরীফের বিরুদ্ধেও দুদক বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন উঠেছে তাই প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য তদন্তের দাবি রাখে। এখানে দুদকের ইমেজ জড়িত। আমরা দুদক কিংবা শরীফ কারোরই পক্ষ-বিপক্ষ নই। শুনানি শেষে আদালত কি কারণে শরীফ উদ্দীনকে অপসারণ করা হয়েছে তা এফিডেভিটের মাধ্যমে দাখিল করতে বলেন।
প্রসঙ্গত, দুদকের উপ-সহকারি কর্মকর্তা শরীফ উদ্দীনকে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন বিধি-২০০৮ এর ৫৪(২) ধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। আর এ সিদ্ধান্তের আগে তাকে কারণ দর্শানোর কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। এ কারণে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের চাপে কমিশন তাকে চাকরিচ্যুত করেছে-মর্মে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি দুদকের চাকরি বিধিমালার যে ধারা প্রয়োগ করে শরিফকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিলের দাবি জানান দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই। তারা শরীফের চাকরিচ্যুতি ও বিতর্কিত এই ধারা বাতিলের জন্য মানববন্ধনও করেছেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের পক্ষ থেকে শরীফের বিরুদ্ধে ১৩টি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। যদিও এসবের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি দুদক। শরীফ উদ্দিনও দুদকের আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, প্রসিডিউরাল মিসটেক হতে পারে, কিন্তু চাকরি যাওয়ার মতো কোনও অন্যায় তিনি করেননি।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ২০ ফেব্রæয়ারি শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের কারণ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টকে চিঠি দেন ১০ জন আইনজীবী। পরবর্তীতে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ