পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রধানমন্ত্রীর "কিচেন কমিশন" অভিহিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইসি গঠন হলেই কি আর না হলেই কি? এই নির্বাচন কমিশন তো গঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। তাছাড়া নির্বাচন তো করবেন ডিসি এসপিরা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ করেন রুহুল কবির রিজভী। এসম বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ছাড়াও মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের নেতৃত্বে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, হাবিবুল হক হাবিব, জাহাঙ্গীর আলম সানি, শাহআলম, এ কে এম ওয়াজেদ, সাইদুল ইসলাম টুলু, কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ বাঁধন মিয়া, এম এ হান্নান মল্লিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমির হোসেন আমির, কামাল উদ্দিন চৌধুরী টিটো, তানভীর আহমেদ, হেমায়েত উদ্দিন হিমু, ফজলে কাদের সোহেল, রনি আক্তার, ইব্রাহীম চৌধুরী,অহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম রিপন, গাজী মোশাররফ হোসেন, হাজী আনোয়ার হোসেন, এম এ হক, বাকিবিল্ল মঞ্জুর রহমান ভূঁইয়া সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শত শত নেতাকর্মী জিয়া উদ্যানের গেইটে জড়ো হলেও পুলিশি বাধা দেয়। ফলে অনেকেই ফিরে যান।
রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকতে নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে সেটা তো প্রধানমন্ত্রীর কিচেন কমিশন। এর বাইরে তাদের তো কোনো ভুমিকা থাকবেনা। কারণ ভোট তো তারা করবেনা। ভোট করবে ডিসি এসপিরা। যদিও নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা তো স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারবেনা। সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের সিনিয়রদের দিয়ে কমিশন হয়েছে। মূলত যাদের চিন্তা চেতনা আওয়ামী রঙে রঙিন তাদের দিয়েই কমিশন গঠন করা হয়েছে। সুতরাং সেটা হলো প্রধানমন্ত্রীর কিচেন কমিশন।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তো ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় রয়েছে, যাদের কোনো জবাবদিহি নেই। সুতরাং জনগণ বাঁচলো কি মরলো সেদিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যে কারণে আজকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত এবং স্বল্প আয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দু:সহনীয় অবস্থা। মানুষ দম নিতে পারছেনা। যেভাবে নিতনিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে তাতে মানুষের শ্বাসনালী টেনে ধরা হয়েছে। আজকে সাধারণ মানের খাবারের চালও ৬৫-৭০ টাকা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় চিনি, বাচ্চাদের জন্য গুড়ো দুধ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিক। পেয়াজ বলুন মরিচ, ভোজ্যতেল সহ মানুষের একান্ত প্রয়োজনীয় খাবারের দাম বেড়েছে।
রিজভী বলেন, আজকে যদি সত্যিকারের নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার ক্ষমতায় থাকতো এসব হতো না। আজকে বাজারে তো সব সরকারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। সব জায়গায় তাদের লোক লাগিয়ে রাখা হয়েছে যে, জনগণকে শোষণ ও লুট করো। আত্মসাৎ করো। জনগণের টাকা লুটের অংশ হিসেবে বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য আওয়ামী সিন্ডিকেট দায়ী।
মৎস্যজীবী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশের বিশাল অংশ জলাভূমি। আমাদের পুষ্টির একটি অংশ সাধিত হয় মাছ দিয়ে। দেশের বিরাট একটি শ্রেণী মাছের চাষ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত। সুতরাং তাদেরকে জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।