Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রন্থাগার সহকারীর অপসারণ দাবি কর্মচারীদের

ঢাবির রোকেয়া হল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের সিনিয়র গ্রন্থাগার সহকারী (গ্রেড-১) ইতি রাণী দাসের বিরুদ্ধে বয়সের হিসেবে সিনিয়র কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণসহ নানাবিধ বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ এনে সকল দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ ও বদলীর দাবি জানিয়েছে হলের কর্মচারীরা। গতকাল রোববার ইতির বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ উল্লেখ পূর্বক হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. জিনাত হুদা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন অভিযোগকারী কর্মচারীরা।

স্মারকলিপিতে বয়সের হিসেবে সিনিয়র কর্মচারীদের তুই বলে সম্বোধন, নিজের দায়িত্বের বাইরে অন্যান্য কাজেও খবরদারি করা, প্রভোস্ট ম্যামের সহানুভূতি নিয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের উপর নিজেকে জাহির করাসহ নানাবিধ অভিযোগ এনেছেন কর্মচারীরা। তারা অভিযোগ করেন, তার ভাবভঙ্গি এমন যে সে যতই অপরাধ করুক প্রভোস্ট মহোদয় তাকে কিছুই বলবেন না। এছাড়াও আরো নানাবিধ অভিযোগ এনে শীঘ্রই তার অপসারণ ও বদলির দাবি করেন কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানায়, কর্মচারীদের কথা অন্য কর্মচারী দিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে পরবর্তিতে এই মোবাইল রেকর্ড ট্রামকার্ড হিসাবে ব্যবহার করে ইতি। মিথ্যা কথা বলে এক স্টাফের সাথে অন্য স্টাফের ঝগড়া বাঁধিয়ে রাখে । এর ফলে হলের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। একই কাজের জন্য কাউকে শাস্তি দেয় কাউকে দেয় না এছাড়া প্রায় অনেক ব্যাপারে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। এতে করে অনেকেই কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। প্রায় প্রতিদিনই কারো না কারো সাথে খুব বাজে ব্যবহার করে এবং প্রভোস্ট ম্যাডামের কথা বলে ভয়-ভীতি দেখায়। কথায় কথায় কর্মচারীদের চাকরি খাওয়ার হুমকি দেয় এবং রিজাইন দিতে বলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মচারী বলেন, তার কাজ হচ্ছে হলের প্রভোস্টকে উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে তাঁর সহানুভূতি আদায় করা। ছোট ছোট ব্যাপারকে রংচং মাখিয়ে বড় করে দেখানোতেই তার আনন্দ। কারণ এভাবে করলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সহজ হয় । এভাবে করে দিন কে দিন সে আরও ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছে । সে বুঝে গেছে তাকে থামানোর কারো সাধ্য নাই। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান হল প্রভোস্টকে নির্দেশ দেন। তবে হল প্রভোস্টের মতামত চেয়ে তাকে একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ