Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জনসংখ্যার ৭৩ ভাগ টিকার আওতায় এসেছে

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে এরই মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এটা টিকা কার্যক্রমে রেকর্ড। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট প্রায় শতভাগ পূরণ করতে পেরেছি। নতুন করে টিকা কর্মসূচির সময়সীমা আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সাউথইস্ট (দক্ষিণ পূর্ব) এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। আমরা করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় সফলতা পেয়েছি। এর পেছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। হাসপাতালে ২০টি শয্যা করোনার জন্য আলাদা করতে হয়েছে। ল্যাব, অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনসহ টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।

দেশে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই টিকা নিয়ে অনীহা দেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় টিকা না নিতে আন্দোলন, ভাঙচুর হয়েছে। কিন্তু আমাদের জনগণ টিকা নিয়েছে, যে কারণে আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের অনেক কাজ করতে হবে। দেশে অংক্রামক রোগ বেড়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আপনাদের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রায় লক্ষাধিকের চেয়ে বেশি চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চার হাজারের মতো উত্তীর্ণ হয়েছেন। এটা বিশাল অর্জন। এখন নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে দেশের মানুষকে ভালো সেবা দেবেন, এটাই আপনাদের কাছে চাওয়া।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজ করলে উন্নতি আর সফলতা আপনাদের পেছনে দৌড়াবে। মানুষের জন্য কাজ করলে সুনাম হবে, পাশাপাশি আল্লাহর রহমতও আপনাদের ওপর থাকবে। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেওয়ার সাধ্য নেই। আপনাদেরই তাদের সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকদের মন হবে উদার, থাকতে হবে সেবার মানসিকতা। আপনাদের কাছে বড়-ছোট ভেদাভেদ থাকবে না। চিকিৎসক হিসেবে আপনারা দেখবেন কার রোগ বড়, কার ছোট।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ৪২তম বিসিএসের (বিশেষ) মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের জাতির জন্য অনেক কিছু করার আছে। আমরা জনগণের টাকায়, তাদের ট্যাক্সের টাকায় চিকিৎসক হয়েছি। নামমাত্র মূল্যে আমরা চিকিৎসক হয়েছি। তাদের সেবা দিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব, আর তাই সেটা করে যেতে হবে নিরলসভাবে। তিনি আরো বলেন, দেশের ইতিহাসে এতো সংখ্যক নিয়োগ আর কখনও হয়নি। নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে অনেক দরিদ্র মানুষের ঘামে ভেজা উপার্জন আমাদের পেছনে রয়েছে। চিকিৎসক হিসেবে একেকজন একেকটি প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের একেকজন এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। এমনভাবে জনগণকে সেবা দিতে হবে, যেন চিকিৎসার পর কোনো রোগীর মৃত্যু হলেও যেন রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের প্রশংসা করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশেও ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে। আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি এবং গরীব দেশকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ