Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ভিকটিম বানিয়েছিলো পরীমণিকে

মামলা বাতিলের শুনানিতে হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ‘ভিকটিম’ বানিয়েছিলো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। মাদকসহ তাকে আটক করে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করা হয়েছিলো। এই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ওই মন্তব্য করেন। পরে আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণির আবেদনের শুনানির জন্য আজ সোমবার সময় নির্ধারণ করেন। পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না এবং অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।
গত ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে পরীমণির পক্ষে আবেদন করা হয়েছিলো। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। সেই সঙ্গে আদালত পরীমণিসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু এবং কবির হোসেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তী পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চার্জশিট দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন নেন।
চার্জশিটে বলা হয়, পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদ জাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ