ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরল ১৫ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। রবিবার (২৭ ফেব্রুযারি) বিকালে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরে। ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল,যশোর, বাগেরহাট, পাবনা, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

পুলিশ জানায়, অভাবের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে ৩ বছর আগে অবৈধ পথে ভারতে যান তারা। এরা ভারতের চেন্নাই ও দমদমসহ বিভিন্ন শহরে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক আটক হয়। পরে তাদের ৩ বছরের জেল হয়। সাজার মেয়াদ শেষে সেখান থেকে ২টি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, আজ যারা ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরলো তারা সংসারে অভাবের তাড়নায় ৩ বছর আগে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন জেলা শহরে যায় কাজের সন্ধানে। সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে ভারতের ২টি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করে। দু-দেশের আইনী প্রক্রিয়া শেষে তারা আজ দেশে ফিরছেন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ১৫ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুর ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যাদের অভিভাবক আজ আসেনি তাদেরকে যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার সংগঠনের শেল্টার হোমে রাখবেন। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।