Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেচের অভাবে ২শ’ একর জমি অনাবাদী

জাল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নলকূপ দখল

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বেনাপোলের খড়িডাংগা গ্রামে নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমিতির স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে গভীর নলকূপ জোর দখল করে নিয়েছে। ফলে খড়িডাংগা মাঠে অর্ধশতাধিক কৃষক চেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন। মাঠে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না তরা।

নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমিতির অন্যান্য সদস্যরা গভীর নলকূপ জোর দখল করায় বাকি আটজন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আদালতে। আদালত মামলাটি বর্তমানে যশোর পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। নুরুল ইসলাম গত ৭ মাস আগে মারা যাওয়ার পর তার ভাই ও ছেলেরা নলকূপটি তাদের দখলে নিয়ে নেয়। সমিতির ৯ সদস্যের মধ্যে প্রথমে পাঁচজনকে ও পরে অপর তিনজনকে মালিকানা থেকে বাদ দেয়া হয়। ১৯৮৪ সালে শার্শা উপজেলা বিএডিসির মাধ্যমে ৯ সদস্যের সমিতির নামে এই গভীর নলকূপটি শার্শার খড়িডাঙ্গা চাতরেল বিলে ২০০ একর জমিতে পানি সেচের জন্য স্থাপন করা হয়। গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য জমিদাতা খড়িডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন,১৯৮৪ সালে বিএডিসির মাধ্যমে সমিতি নামে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। নলকূপের জন্য তিন শতাংশ জমি দান করি আমি। সমিতির সদস্য ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন ও এবাদত আলী, আব্দুল আজিজ, নুরুল ইসলাম, আহাজ্জত আলী অহেদ আলী, হাবিবুর রহমান, শাহাদৎ হোসেন। গভীর নলকূপটি চালানোর জন্য রিয়াজ উদ্দিনের নামে বিদ্যুতের মিটার নেয়া হয়। আর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় নুরুল ইসলামকে। দুই বছর সমিতির কোনো হিসেব দেয়া হয়নি। নুরুল ইসলাম এরই মধ্যে গোপনে নলকূপের সব কাগজপত্র নিজের নামে করে নেন। সর্বশেষ ২০২০ সালে রিয়াজ উদ্দিনের নামে থাকা বিদ্যুতের মিটারটিও নিজের নামে করে নেন তিনি। বর্তমানে এই গভীর নলকূপটির মালিকানা নিয়ে যশোর আদালতে মামলা চলমান। বছর তিনেক আগে প্রতারিতরা এই মামলাটি করেন। নুরুল ইসলামের ভাই নুরুল হক জানান, সব কাগজপত্র আমাদের নামে। নলকূপের লোন পরিশোধ করতে না পারার আমার ভাইকে জেলে যেতে হয়। পরে নিজেদের জমি বিক্রি করে আমরা লোন পরিশোধ করেছি। বর্তমানে এ বিষয়টি আদালতে মামলা চলমান, মামলায় যে রায় হবে সেটি আমরা মেনে নিব। বেনাপোল ইউপি চেয়রম্যান বজলুর রহমান জানান, গভীর নলকূপটির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে যখন সঙ্কট সৃষ্টি হয়, তখন আমি উভয়কে নোটিশ করে ইউনিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে আসি। প্রকৃতপক্ষে গভীর নলকূপটি দালিলিকভাবে মালিক নয়জন। যশোর পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা খাতুন জানান, কাগজপত্র জালিয়াতি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার জন্য আদালত আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি, আশা করি দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে সক্ষম হবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ