Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুমকিতে সৈয়দপুুর শহররক্ষা বাঁধ

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া ও ঘৃণাই করতোয়া নদীর বাঁধের মাটি চুরি করছে স্থানীয় একটি অপরাধী চক্র। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রাক্টর, ট্রলি ও ড্রাম ট্রাক। বাঁধের চোরাই মাটি ইটভাটায় ও শহরের বিভিন্ন স্থাপনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবেই অপরাধ জগতের হোতারা কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ওই দুই নদীর চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে কমপক্ষে ৫০টি স্থানে মাটি চুরি করছে চক্রটি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।
মাটি চুরি ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাইফুল হাসান রনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু তারপরও মাটি চুরি ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। মামলায় উল্লেখ করা হয় খড়খড়িয়া নদীটি নীলফামারী জেলার সিংদই বিল হতে উৎপন্ন হয়ে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ীর ছোট যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে। এ নদীর বামতীরটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ এই অংশে বিমানবন্দর, সেনানিবাস, দেশের বড় রেল কারখানাসহ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণস্থাপনা। মাটি চুরির কারণে বর্ষাকালে বাঁধটি বন্যার তোড়ে ভেঙে গেলে ওই অংশ পানিতে তলিয়ে যাবে। বিশেষ করে ভৌগলিক কারণে খড়খড়িয়া নদীর বন্যার পানির স্তর থেকে সৈয়দপুর শহরটি প্রায় এক মিটার নিচু।
এ অবস্থা ঘৃনাই করতোয়া নদীর বেলায়ও ঘটেছে। এ নদীটিরও ডানতীরটি বেশ স্পর্শকাতর। স্থানীয়রা জানান, এই নদীর এক কিলোমিটার মধ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সেনানিবাসের অবস্থান। বর্ষাকালে নদীটি টইটুম্বুর হয়ে যায়। বাঁধে মাটি না থাকলে পানির তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পরবে। এতে করে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে যেতে পারে। হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হবে। ফলে ফসল, মানুষ আর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পড়বে হুমকিতে। এ জন্য বাঁধের মাটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থানীয়রা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ গ্রাম পুলিশের টহলদারী বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুর রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বাঁধের মাটি পাহারা দেয়ার মতো আমাদের লোকবল নেই। তাছাড়াও স্থানীয় সমাজহৈতিষী ব্যক্তিরা জনস্বার্থে সরকারের সম্পদ রক্ষার্থে ভূমিকা না নিলে বাঁধের মাটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল বাড়ানোসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যপারে সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত থানায় অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধের মাটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ