Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থামছে না বালু ও মাটিকাটা

ফিরোজ খান লোহানী, ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ইসলামপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় গোয়ালের চর, গাইবান্ধা, চর গোয়ালিনী, চরপুটিমারীসহ বকশিগঞ্জ ও শেরপুর জেলার পশ্চিমের কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজ হলো শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ (বীর উত্তম) ব্রিজ। ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। এক শ্রেণীর অসাধু বালু সিন্ডিকেট ব্রিজের নিচ থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে ব্যাকু দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে। মানছে না সরকারি কোন বিধি নিষেধ। প্রশাসনের নাকের ডগায় দেখেও দেখছে না বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার সদরে পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন- আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ব্রিজসহ পৌর শহরের ফকিরপাড়া পাইলিংপাড়, বীর চাড়িয়া, বীর হাতিজা, ঐতিহ্যবাহী কাঁসা শিল্প এলাকা, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হুমকির মুখে রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ব্রিজের নিচ থেকে যেভাবে বালি ও মাটি কাটা হচ্ছে তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে বড় বড় গর্ত হলে ওই গর্তে বন্যার পানি ডুকে ঘূর্ণবর্তার সৃষ্টি হওয়ায় বালু ও মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হবে। যে কোন সময় ভাঙনের তান্ডব বেড়ে নদী তীরবর্তী এলাকার জনপদ, রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদরাসা, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকিতে পড়বে। এছাড়া ইসলামপুর শহর রক্ষার পাইলিং বাঁধটি যে কোন সময় ধসে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, ব্রিজের আশপাশ থেকে বালু মাটি উত্তোলন করায় ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান জানান-বিষয়টি আমি দেখছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ