Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না : ড. রাজ্জাক

আওয়ামী লীগের বাসাইল উপজেলা ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৯ পিএম

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভালো নির্বাচন হবে। অথচ বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না, নির্বাচনও চায় না। তারা জানে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আগামী নির্বাচনে তাদের একেবারে ভরাডুবি হবে। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তার জেলে থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারের উদারতায় জেলের বাইরে রয়েছেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির আরেক নেতা তারেক রহমান বিদেশে থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দল পরিচালনা করে। সেও দুর্নীতিবাজ। আইন অনুযায়ী তারও নির্বাচনে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়। কাজেই তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় সরকারের পতন। কিন্তু এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আগামী নির্বাচনের আগে জনগণের রায় ব্যতীত এই সরকারের পতন হবে না। আজ রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। অতীতে তারা নিজ নিজ পেশায় অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, তাদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এই কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে, শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে। কাজেই নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভালো নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোনও আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়ন করেছেন। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই বিএনপি এই কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক, তাতে কিছু যায় আসে না। তারা যতই আন্দোলনের হুমকি দেক, আগামী নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের আন্দোলন মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন।

পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন, বাসাইল-সখীপুর আসনের সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় সভাপতির পদ পান কাজী অলিদ ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পান হাজী মতিয়ার রহমান গাউজ। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কাজী অলিদ ইসলামকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল আলম মাস্টার।

এর আগে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আহসান হাবীব খান, সাবেক সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক সচিব আনিছুর রহমান। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ