Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করলেন সিলেট কোম্পানীগঞ্জ ইউএনও , জেলা প্রশাসকের কাছে নালিশ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:৪৩ পিএম

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কাফন ্ও দাফন ব্যবস্থার টাকা অন্য কেউ একজন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন মৃত্যু মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। এ দুটি বিষয় উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মো. ময়মনা খাতুন সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ (ডক নম্বর-৬১/২৭/০২/২২) দাখিল করেছেন আজ (রবিবার)

ময়মনা খাতুনের অভিযোগ, তার স্বামীর মৃত্যুর পর সরকারের তরফ থেকে দেওয়া দাফন-কাফনের টাকা উপজেলা প্রশাসন থেকে অন্য কেউ উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজংয়ের কাছে জানতে গেলে ময়মনার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে অফিস বের করে দেন তিনি। লিখিত অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আ. মতলিবের স্ত্রী ময়মনা খাতুন উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মতলিব। তাঁর মৃত্যুর পর সরকার থেকে দাফন-কাফন বাবদ যে টাকা দেওয়া হয় তারা তিনি ও তাঁর পরিবারের কেউ উত্তোলন করেননি। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানতে পারেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কে বা কারা টিপসই দিয়ে উত্তোলন করে নিয়েছে বরাদ্দকৃত ওই টাকা । এ বিষয়ে জানতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনা ও তাঁর ছেলে আলমগীর আহমদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে বিষয়টি অবগত করামাত্রই নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং উত্তেজিত হয়ে তাদের গালমন্দ করে কার্যালয় থেকে তাড়িয়ে দেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতলিবের পূত্র আলমগীর আহমদ বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে সরকার যে দাফন-কাফনের টাকা দেয় সেই টাকা আমরা পাইনি। ইউএনও অফিস থেকে জানতে পারি আমার বাবার দাফন-কাফনের টাকা টিপসই দিয়ে কে উঠিয়ে নিয়েছে। এই টাকা আমাদেরকে না দিয়ে কাকে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি জানার জন্য আমি আমার মাকে নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। অফিসে গিয়ে চেয়ারে বসার পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন কী কারণে অফিসে গেলাম। আমরা বিষয়টি বলতেই তিনি বলেন, তোমাদের কোন কমনসেন্স নেই। কখন অফিসে ঢুকতে হয় তা জান না। অফিসে কত গোপনীয় কাজ থাকতে পারে তা না জেনেই অফিসে ঢুকে চেয়ারেও বসে গেলে। এরপর উচ্চস্বরে ধমক দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন তিনি। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সঙ্গে আমি দুর্ব্যবহার করার প্রশ্নই ওঠে না। অন্য কেউ টাকা উত্তোলন করে নেওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ